ফরিদগঞ্জে বিদেশ পাঠানোর টাকা নিয়ে বিরোধের জের চাচার হাতে ভাতিজা খুন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৫

মোঃ শাখাওয়াত হোসেন মিন্টু।।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিদেশ পাঠানোর টাকা লেনদেনের বিরোধের জেরে বাড়ির চাচার হাতে ভাতিজা খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলো বাহার হোসেন বাবু(২৪)। এছাড়া নিহতের বাবা রওশন আলী (৫৫)ও ভাই আরমান হোসেন ( ২৭) গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক হাসান (৪০) ও সাকিল (২৩)কে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে আরেক ঘাতক রাকিব হোসেন (১৯) পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের গাজী  বাড়িতে সোমবার ১১ আগস্ট দুপুরে ঘটে। এদিকে ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ কয়েক হাজার জনতা ঘাতকের বাড়ি ঘিরে রেখেছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবায়দুল হক জানান, বড়গাঁও  গ্রামের গাজী বাড়ির প্রবাসী হাসানের সাথে একই বাড়ির বাসিন্দা  বাহার হোসেন বাবুর সাথে বিদেশে পাঠানোর টাকা নিয়ে লেনদেন ছিল। গত প্রায় একমাস পূর্বে বাবুু ওমান থেকে দেশে আসলে হাসানের সাথে বিরোধ বাঁধে। এনিয়ে এলাকায় কয়েক দফা সমঝোতা বৈঠক হলেও সমাধান না হয়নি। সোমবার (১১ আগস্ট ২০২৫) পুনরায় সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
এরই মধ্যে হাসান দুপুরে বাবুকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অন্যসহযোগিদের সহযোগিতায় নিজের ঘরের সামনে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। এসময়ে বাবুকে বাঁচাতে তার সহোদর আরমান হোসেন গাজী ও তার বাবা রওশন আলী গাজী এগিয়ে আসলে ঘাতক হাসান, তার ছেলে রাকিব, সাকিল ও তার পুত্রবধূ সুমাইয়া তাদের উপর হামলা করে। এসময়ে আরমানের বুকে ছুরিকাঘাত ও রওশন আলীকে মাথায় সহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।  ঘটনা প্রকাশ পেলে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে হাসানকে আটকে রেখে পুলিশে সোর্পদ করে। এছাড়া ঘাতক সাকিল পালিয়ে যাওয়ার সময় মুন্সিরহাট এলাকা থেকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, এই ঘটনায় ৩জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর পাঠানো হয়েছে।