নওগাঁয় আওয়ামী লীগ-বিএনপির অফিস ভাংচুর দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২৪ সৈকত সোবাহান।নওগাঁয় শনিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভের সময় জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিচার্জে সাংবাদিক ৩ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া বিকেলে হামলা চালানো হয় বিএনপি অফিসে। আহতদের নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের সরিষাহাটির মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে প্রধান সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া বিকেলে হামলা চালিয়ে জেলা বিএনপি অফিসের চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র ভাংচুর ও ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছে হামলাকারীরা। জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা শহরের কাজির মোড়ে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গেলে আওয়ামী লীগ কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারীদের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৪ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ৩ পুলিশসহ শিক্ষার্থী ও আওয়ামী কর্মীদের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। এই ঘটনার পর বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সরিষাহাটির মোড়ে এবং দুপুর ১টা পর্যন্ত মুক্তির মোড়ে প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখে কোটা আন্দোলনকারীরা। বিকেল ৩টার দিকে হামলা চালিয়ে জেলা বিএনপি অফিসের চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র ভাংচুর ও ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছে হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলে ও শহরের গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনকারীরা প্রধান সড়ক প্রায় ১ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা কোটা আন্দোলনে নিহত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ‘সেনা সরকার’ দাবি করেন। জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা বিএনপি অফিস ভাংচুর ও হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, আজকের সহিংসতা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি বলেও জানান তিনি। SHARES সারা বাংলা বিষয়: