সিরাজদিখানের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স সেবার নামে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:৩৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২৪

সাকিব খান ।সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবায় নিয়ম বহির্ভূত বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এম্বুলেন্স ড্রাইভার জালালের বিরুদ্ধে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ (মিডফোর্ড) যাওয়ার রোগীদের থেকে ৩৫০০ এবং ৪০০০ টাকা নিয়ে থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরাজদিখানের একজন ভুক্তভোগীর জানায় আমার ছোট বোন অসুস্থ হওয়ার কারণে ইছাপুরা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই নিয়ে যাওয়ার পরে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ও কে ঢাকা রেফার করে দেয়া হয় রেফার করে দেয়ার পর যত দ্রুত পারেন রোগীকে ঢাকা নিয়ে যান তো আমরা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যে অ্যাম্বুলেন্স উনাকে জোগাড় করে ওনার মাধ্যমে ঢাকার সমুনা ক্লিনিকে নিয়ে যাই নিয়েও যাওয়ার পরে উনি আমার কাছে ৫০০০ টাকা দাবি করে এম্বুলেন্সের চার্জ পরে আমি ওনার সাথে বার্গেডিং করে অনেকটা কথা কাটাকাটি করে ৪০০০ টাকা দিতে বাধ্য হই যেটা সাধারণ রোগীর জন্য অনেক বেশি।

হয়তো আমার সামর্থ্য ছিল বলে আমি দিতে পারছি কিন্তু একটা গরীব একবারে অসহায় লোকের পক্ষে ৪ হাজার টাকা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিয়ে ঢাকা চিকিৎসা করা অনেক টার্ফ। একই পরিবর্তে উল্লেখ করা হয়বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য রোগী সেজে মোবাইল ফোনে আমরা কথা বলি অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার জালাল উদ্দিনের সাথে তিনি আমাদেরকে জানায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৫০০ টাকা এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) ৩০০০ টাকা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডাঃ মোঃ আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত নীতিমালা বলা হয় সাধারণ এম্বুলেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দশ টাকা হারে । গুগল ম্যাপের তথ্য বলছে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব ৩৬ ও ৩৭ কিলোমিটার। বর্তমান অকটেনের বাজার মূল্য প্রতি লিটার ১৩১ টাকা । এক লিটার অকটেনে এম্বুলেন্স চলতে পারে ৮ থেকে ১০কিলোমিটার।

এসব দুর্নীতির দায় অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক জালাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাই সরকারিভাবে আপনি ভাড়াটা কিভাবে নেন ? তিনি জানায় ভাড়াটা আমাগো তেল খরচ অকটেন চলে গাড়িয়ে তেলে আর টোল ভাড়া আছে আপনের তিনি সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন করে আপনার কি গাড়ি লাগবে! সাংবাদিক প্রতি উত্তরের না উত্তর দিলে তিনি সাংবাদিককে বলে গাড়ি না লাগলে আপনার এত কথার দরকার কি? পরের দিন সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে দেখা করার কথা বলে ।

এই অভিযোগ থাকার পরেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এসব বিষয়ে জানতে আমরা কথা বলি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঞ্জুমান এর সাথে তিনি আমাদেরকে জানায় অ্যাম্বুলেন্স এর ক্ষেত্রে পার কিলোমিটার গভমেন্ট একটা টাকা জমা দিতে হয় এবং বর্তমানে তেলের যে রেট বর্তমানে সেই হিসেবে করে নিতে হবে এবং পার কিলোমিটার টাকা জমা দিবে টোল আছে টোল সহ যে কয় টাকা আসবে সে কয় টাকা নিবে। এখানে বেশি দেয়ার বানায় আর কোন সুযোগ নেই যদি কেউ বেশি নিয়ে থাকে বা দিয়ে থাকে অবশ্যই উনার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উচিত ছিল আমার কাছে এসে এ কমপ্লেন টা করার। কেউ যদি আমাকে কমপ্লেন না করে বাইরে থেকে বলতেছে রাখার ব্যাপারে যেমন এর আগে আমাকে একজন বলছে পরবর্তীতে আমি ওনাকে ডাকলাম আপনি ভাই আমাকে অভিযোগ দেন আমি এটার তদন্ত করি উনি কিন্তু আমাকে আর কোন অভিযোগ দিলেন না এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কিন্তু আমার আসলে কিছু করার থাকে না।