বরগুনা জেলার মোঃ আশরাফুল আলম একজন মানবিক অফিসার

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২৪

মোঃ মাহবুব হাসান। রগুনা জেলার আমতলী উপজেলা একটি জনবহুল উপকূলীয় এলাকা।সিডর, আয়লা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাক্ষী বরগুনা জেলা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার সময় বরগুনায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত এম পি ছিলেন এ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ সমভু।

কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়, আওয়ামী লীগ সমর্থিত এম পি থাকা সত্ত্বেও চোখে পরার মত তেমন কোন কাজ হয়নি বরগুনা জেলায়। বরগুনা জেলার সর্ব উওর -পূর্বের উপজেলা আমতলী উপজেলা। আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামে নয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু কালীবাড়ি গ্রামের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। এখানে নেই কোন পাকা সড়ক। কাঁচা মাটির যে সব রাস্তা আছে তা মানুষ চলাচলের অনুপযোগী। অনেক কষ্ট স্বীকার করে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ, অসংখ্য ছাত্র/ছাত্রী , শিক্ষক, শ্রমিক অনেক কষ্ট স্বীকার করে চলাচল করে।

রাস্তা ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন দরকার এ অঞ্চলের।বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসেছেন।গত ২০২২ সালের ১১ ই ডিসেম্বর আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে আসেন জনাব মোঃ আশরাফুল আলম। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, কর্মনিষ্ঠ, ন্যায় পরায়ণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে উপজেলার সর্বত্র সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত। তিনি আমতলী উপজেলার যোগদানের পর উপজেলা সর্বএ সর্বাধিক ন্যায় নীতি , স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে বলে সাধারণ মানুষের ধারণা।সব কাজের ক্ষেত্রে তিনি সর্বাধিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেন। তিনি সব দল মতের উর্ধ্বে উঠে সঠিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যার জন্য সর্ব শ্রেনীর মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আশরাফুল আলম।

তিনি আমতলী উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন সরকারি ভাতা সহ সব কাজই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনেন। গত ৫ ই আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারা দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। যেখানে আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা থানা থেকে বের হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায় ।এ হেন অবস্থায় দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া খ্যাত বরগুনা জেলার অবস্থা হয়ে পড়ে বেহাল দশা। কিছু দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন অফিস, বাসা বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালানোর অপচেষ্টা চালায় কিন্তু সদা জাগ্রত আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আশরাফুল আলম ও উপজেলা ভূমি অফিসার (এসি ল্যান্ড ) জনাব মোঃ তারেক হাসান এর নেতৃত্বে আনসার সদস্য ও সাধারণ মানুষ কে সাথে নিয়ে দুষ্কৃতকারীদের শক্ত হাতে দমন করতে সমর্থ হন। এ ব্যাপারে তিনি সব শ্রেনী পেশার মানুষের জোরালো সমর্থন পান।

তিনি সব শ্রেনী পেশার মানুষের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন।এ ছাড়া গত সোমবার বরগুনা জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম শুদ্ধাচার পুরষ্কার ২০২৪ প্রদান করেন সেখানে আমতলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আশরাফুল আলম সাহেব কে শুদ্ধাচার পুরষ্কার প্রদান করা হয়।যা আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আশরাফুল আলম ও আমতলী বাসীর জন্য গর্বের বিষয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রদবদল হচ্ছে তবে বরগুনা জেলার আমতলী বাসীর প্রানের দাবি আমতলী উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ আশরাফুল আলম যেন আমতলীতে থাকেন। কেননা তিনি আমতলীর দল,মত নির্বিশেষে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি।