নাসিরনগরে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪ আশিকুর রহমান চৌধুরী পনি।একদিকে ভাদ্রের প্রচন্ড গরম অন্যদিকে লোডশেডিং! এ যেন নাসিরনগরের নিত্যদিনের চিত্র। অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।নাসিরনগরের প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে যেন বিদ্যুতের সেবা নিয়ে প্রশ্ন। বিদ্যুৎ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই।অভিযোগের তালিকায় রয়েছে অতিরিক্ত লোডশেডিং, নাসিরনগর সদর ইউনিয়নে বিদ্যুৎ থাকলেও অন্যান্য ইউনিয়নে বিদ্যুৎ না থাকা নিয়ে। ঋতু বদলের সাথে সাথে প্রকৃতি যেমন তেঁতে উঠছে তেমনি গরম শুরু হওয়ার সাথে সাথে প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোডশেডিংয়ে নিত্য বিড়ম্বনায় পড়ছেন হাওর উপজেলা নাসিরনগরের জণগন।তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় গরমে জনসাধারণের মাঝে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।অব্যহাত লোডশেডিং এর কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হয় আতুকোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদার সঙ্গে তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমে একদিকে যেমন বিল্ডিংয়ের ছাদ উত্তপ্ত হয়ে উঠে অন্য দিকে শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের জামা কাপড় ঘামে ভিজে যায়, বিদ্যুৎ না থাকলে ক্লাস নেওয়াটা কষ্টকর হয়ে পড়ে ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাছাড়াও তাপদাহ বৃদ্ধির কারণে নারী-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক রাতে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে চার্জ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এরফলে উপজেলাটিতে গাড়ি চলাচলে শ্রমিকদের পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।ভূক্তভোগীরা জানান, প্রায় একমাস ধরে বারবার লোডশেডিং এর কবলে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নাসিরনগর বাসীকে।নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী আমজাদ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নাসিরনগরে দিনের বেলা বিদ্যুতের প্রয়োজন ১৬ মেগাওয়াট, এখন পাওয়া যাচ্ছে ৭ মেগাওয়াট, রাতের বেলা বিদ্যুতের প্রয়োজন ২৩ মেগাওয়াট পাওয়া যায় ১২/১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে নাসিরনগরে। তিনি আরো জানান, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের কিছু সমস্যা হবে। নাসিরনগর সদরে বেশি বিদ্যুৎ আর অন্যান্য ইউনিয়নে বিদ্যুৎ কম থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, উপজেলা সদরে উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি অফিসের দপ্তর, হাসপাতাল থাকায় বিদ্যুৎ একটু বেশিই দিতে হয়। SHARES সারা বাংলা বিষয়: