সঠিক ভুক্তভোগী কে জেলে কার্ড বিতরণ ছাত্র জনতার, ক্ষিপ্ত ও অনিয়মের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ২:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৪ মামুন রাফী।নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মোসলেউদ্দিন নিজাম চৌধুরীকে জেলে কার্ড না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত ও চড়াও হয়েছেন তমরদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইয়াসিন আরাফাত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর। এমন অভিযোগ এসেছে বিএনপি নেতা মোসলেউদ্দিন নিজাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। জানা যায়, সঠিক ভুক্তভোগীরা জেলে কার্ড পায় না, যারা জেলে কার্ড পাওয়ার কথা নয় তারাই পাচ্ছে, মানে ধনী ব্যাক্তিরা, তাই সঠিক ভাবে বিতরণের জন্য দায়িত্ব নেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা।গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইয়াসিন আরাফাত এর কাছে ৪৪৫ জেলে কার্ড আসে, এগুলো বিতরণের দায়িত্ব পালন করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতারা, এবং ইউনিয়ন সচিব নিজেই, ছাত্র জনতা সঠিক যাচাই-বাছাই করে সঠিক ভেরিফিকেশন করে বিতরণ করে। কার্ড দারী কেউ যদি কোন কারণে আসতে না পারলে পারিবারের সদস্যরা সেটা গ্রহন করে, কিছু জেলে কার্ড রয়েছে যারা আসতে পারেনি, তারা পরবর্তী দিনে দেওয়া হবে। জেলে কার্ড গুলো বিতরণের এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা মোসলে উদ্দিন নিজাম চৌধুরী তমরদ্দি ঘাট থেকে কয়েকজন লোক নিয়ে এসে সচিব ইয়াসিন আরাফাত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতার এর উপর চড়াও হয়, বাড়াবাড়িও হয়। এবং ৪৪৫ টি জলে কার্ড থেকে ২৩০ টি জেলে কার্ড নিয়ে যায়, তার অভিযোগ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ লোকজন খেয়েছে, আমাদের লোকজন খায়নি এখন আমাদের নেতাকর্মী ও লোকজন খাবে। একটা ভিডিও ফুটেজে দেখা এবং ইউনিয়ন সচিব কার্যালয়ের কাজ শেষ করে ফেরার সময় তার মোটর বাইক অবরোধ করে অনেকক্ষণ জেরা করে বিএনপি নেতা মোসলেউদ্দিন নিজাম চৌধুরী ও তার লোকজন। সম্প্রতি এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ১৫০ জেলে কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে গণমাধ্যমে নিউজ ও প্রকাশিত হয়। তবুও তার অনিয়মের অভিযোগের শেষ নেই।এই বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতার মধ্যে নিলয় নামের একজন বলেন, যারা জেলে কার্ড পাওয়ার কথা নয় তারাই জেলে কার্ড পাচ্ছে, সত্যি কারের ভুক্তভোগী যারা রয়েছেন তারা পাচ্ছেন না, তাই আমরা ছাত্র জনতারা সঠিক তদন্ত, ভেরিফিকেশন করে অরিজিনাল কার্ড দেখে জেলে কার্ড বিতরণ করছি, এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা মোসলেউদ্দিন নিজাম চৌধুরী এসে আমাদেরকে বাঁধা দিয়ে ২৩০ টি কার্ড নিয়ে যায়। এবং বাড়াবাড়ি ও হেনস্তা করা শুরু করে। ওনি প্রসাশনের কেউ নন তাহলে তিনি জেলে কার্ড নেওয়ার তো কোন প্রশ্নই উঠে না। এই বিষয়ে বিএনপি নেতা মোসলেউদ্দিন নিজাম চৌধুরী বলেন, আমি তো সব সময় ইউনিয়ন পরিষদে যাই, আমার সাথে কোন ঘটনা ঘটে নি, এবং আমার সাথে কারো কোন বাড়াবাড়ি হয়নি, প্রশ্নের এক পর্যায়ে বলেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আমার সব সময় কথা হয়।তমরদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইয়াসিন আরাফাত বলেন, আমি এবং ছাত্র জনতা সহ সঠিক ভেরিফিকেশন করে কার্ড গুলো বিতরণ করি এক পর্যায়ে নিজাম চৌধুরী এসে আমাকে বাঁধা দিয়ে জেলে কার্ড দাবী করে এবং ২৩০ কার্ড নিয়ে যায়। এবং আমার বাইক থামিয়ে অবরোধ করে জেরা করতে থাকে লোকজন নিয়ে। এই বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন চাকমা বলেনঃ সঠিক ভুক্তভোগীরা যাতে করে জেলে কার্ড বুঝে পায় সেজন্য ইউনিয়ন সচিবের সাথে কাজ করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা। নিজাম চৌধুরী প্রশাসনের কেউ নয়, সে কেন জেলে কার্ড দাবী করবে, এ বিষয়ে তার অনেক অভিযোগ আমার কাছে রয়েছে। আমরা প্রশাসনিকভাবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিব। SHARES সারা বাংলা বিষয়: