সুন্দরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই মন্দির কতৃপক্ষ মুখোমুখি,প্রশাসন ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
গতকাল শুক্রবার রাত ১২ ঘটিকার সময় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৮নং ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের ইন্দ্রারপাড় নামক স্থানে ইন্দ্রারপাড় কেন্দ্রীয় মন্দির ও পাশ্ববর্তী কালি মন্দিরে আরতী দেখাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায় এবং শনিবার দুপর পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।ঘটনাটি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি জানার পর বাংলাদেশ পুজা উদযাপন কমিটি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ কুমার বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক আল্পনা রানী গোস্বামী প্রশাসন সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ সময় উভয় মন্দির কমিটির লোকজন সহ প্রত্যক্ষদর্শীদের নিকট সব শোনেন এবং উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ন ভাবে পূজা উদযাপনের আহ্বান জানান।যাতে আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার কথা বলেন।প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন গতকাল রাতে আনুমানিক ১২ টার দিকে ইন্দ্রারপাড় কেন্দ্রীয় মন্দিরে আরতী শেষ হলেও পার্শ্ববর্তী কালি মন্দিরে আরতী চলছিল তখন ইন্দ্রার পাড় হতে কিছু আরতী প্রিয় দর্শক কালি মন্দিরে এসে ভীড় জমান এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আরতী দেখতে আসা অন্য মন্দিরের লোকজনদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহির চলে গেলে স্থানীয় লোকজন উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।উক্ত ঘটনা সম্পর্কে পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বলেন- ঘটনটি আমি রাতেই অবগত হই এবং উভয় পক্ষের সাথে রাতেই কথা বলে শান্ত রাখার চেষ্টা করি।৮ নং ধোপাডাঙা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সভাতি তাপস কুমার খোকন বলেন- আমি ঘটনা ঘটার সময় উপস্থিত ছিলাম না পরে আমি এসে আমার লোকজনকে শান্ত করে ঘটনাস্থল থেকে ইন্দ্রারপাড় নিয়ে আসি এবং বিষয়টি প্রশাসন সহ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটিকে অবহিত করি ফলে তারা আজ আমাদের দুই পক্ষের কাছে সবকিছু শুনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ভুল বুঝাবুঝি ছিল তা নিরসন করেন।এসময় স্থানীয় বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ বলেন – আমি রাতে ঘটনাটি শোনার পরপরই উভয় মন্দিরে বিএনপির যে সব দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলো তারা সহ প্রশাসনের সহয়তায় প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে সকালে আবার পরিস্থিতি থমথমে হলে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, প্রশাসন ও বিএনপি দলীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটে।