মোঃ শাহজালাল।। জাতীয় সংসদে বরগুনা–৩ সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবি বরগুনার রাজনৈতিক, পেশাজীবী, সামাজিক সংগঠন ও নাগরিক প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বরগুনা পৌরসভার হলরুমে অতীত সমাজকল্যাণ সংস্থা- এসএসসি ১৯৮২ আয়োজনে নুরুল আমিন ফরাজীর সভাপতিত্বে নাগরিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্লা, বিশেষ অতিথি এডভোকেট মোঃ ইদ্রিস তালুকদার,  বিএনপি নেতা মোঃ এজেড এম সালে ফারুক, নজরুল ইসলাম ইদ্রিস,কেন্দ্রীয় যুব দলের সহ সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. মুরাদ, আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, ইসলামি আন্দোলনের নেতাকর্মী ও সুশীল নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে বরগুনা-৩ সংসদীয় আসনটি একটি স্বতন্ত্র আসন ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বরগুনা জেলায় সংসদীয় আসন ছিল তিনটি। এর মধ্যে আমতলী-তালতলী উপজেলা নিয়ে ১১২ বরগুনা-৩ আসন। ২০০১ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সংসদ সদস্য মো. মজিবুর রহমান তালুকদারের আকস্মিক মৃত্যুতে এ আসন (আমতলী-তালতলী) থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন করে জয়লাভ করেছিলেন। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ গঠন ১৯৭৬-এর ৬-এর (২) ধারার প্রশাসনিক কাঠামো, আয়তন, বাস্তবিক অবস্থা ও জনসংখ্যা বিবেচনা না করে শুধু জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসনটি (আমতলী- তালতলী) বিলুপ্তি করে। পরে বরগুনা জেলা সদরের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেয়। এতে করে জেলার কিছু কিছু উপজেলায় উন্নয়ন ও সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সকল শ্রেনী পেশাজীবি মানুষ এ আসনটি পূর্বের মতো আবারো পুনর্বহালের দাবি জানান। প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, সাংবিধানিক ভাবে ভৌগোলিক ও জনসংখ্যার দিক থেকে বরগুনার ৩টি সংসদীয় আসন আমাদের দাবি । সাগর আর নদী বেষ্টিত বরগুনা জেলায় ৩টি সংসদীয় আসন ফিরে পেতে বৃহৎ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।