কয়রায় মাদ্রাসা শিক্ষক যুগলের পরকিয়ায় এলাকায় তোলপাড়

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৪

আরাবিনডা কুমার মন্ডর।। খুলনার কয়রায় সিদ্দীকিয়া ফাজিলা (ডিগ্রী) মাদ্রাসার দুই শিক্ষক শিক্ষিকার জেরে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অবস্থায় ধৃত হওয়া নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে ।মাদ্রাসার শিক্ষকের সাথে শিক্ষিকার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়েও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী  অভিভাবকরা। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়রা সিদ্দীকিয়া ফাজিল (ডিগ্রী)  মাদ্রাসার বাংলা শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সাথে  ওই মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষিকা স্থানীয় মাওয়াজ শেখের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী  শিউল আক্তারের  সাথে দীর্ঘদিন পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। ইতিপূর্বে তাদের পরকীয়ার সম্পর্ক জানাজানি হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বসাবসি করে বিষয়টি নিরসন করেন। তাদেরকে বারবার সতর্ক করার পরেও তারা সেটা ভ্রুক্ষেপ  করেনি ।গতকাল  শনিবার ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১০ টার দিকে কয়রার মদিনাবাদ  গ্রাম থেকে   স্থানীয় কিছু যুব ওই শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে শিউলির বাড়ির পেছনের বাগানে অনৈতিক অবস্থায় আটক করে কয়রা  থানা পুলিশের কাছে সোপার্দ করে।  তবে অভিযুক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের সময় আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।  ৪ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওতে স্থানীয় যুবকরা  শিক্ষিকা শিউলি আক্তারের  কাছে তাদের সম্পর্কের কথা জানতে চাইলে  তিনি বলেন,  সাইফুল আমার চাচাতো ভাই আমরা খারাপ কিছু করিনি, সে আজ আমাদের বাড়িতে থাকবে বলে এসেছে।  যানা যায়, শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায়। তিনি এনটিআরসি নিয়োগে  ২০২২ সালে কয়রা সিদ্দীকিয়া ফাজিল  মাদ্রাসায় যোগদান করেন। সেই থেকে কয়রা সদরের একটা ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি।স্থানীয় ইলিয়াস হোসেন বলেন, গতকাল রাতে কয়রা সিদ্দীকিয়া মাদ্রাসার ২ শিক্ষককে তাদের (শিউলি আক্তার) বাড়ির বাগান থেকে অনৈতিক কর্মকান্ডের  সময়  রাত অনুমানিক ১০ টার দিকে আমরা আটক করি । তাদের পরিচয় জানতে চাইলে বলেন আমার চাচাতো ভাই আমাদের বাড়িতে থাকবে।  পরে লোকজন জড়ো হতে থাকে তখন আমরা কয়রা থানা পুলিশের কাছে তুলে দিই। তবে  এর আগেও ওই শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে  একাধিক বার শিউলির বাড়িতে যাতায়ত করতে দেখা যায়।৪ নং কয়রা গ্রামের বাসিন্দা সমাজসেবক  শেখ নুরুল হুদা বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।  এর আগে এলাকাবাসী তাদের আচরণে খুব্ধ। আমার তাদের বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।কয়রা সিদ্দীকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনছুর আলী বলেন, আমি শুক্রবার ও শনিবার ছুটিতে বাড়িতে ছিলাম তবে  ঘটনা শুনেছি এখন জরুরুী মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো কয়রা থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শাহ আলম বলেন, তাদের প্যানাল কোর্টে ২৯০ ধারায় কয়রা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে  বলেন,  কয়রা সিদ্দীকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনার কথা শুনেছি। এটা দুঃখজনক ব্যপার উর্ধোতন কতৃপক্ষর সাথে কথা বলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।