খাজা ইউনুছ আলী ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের ক্লাস পার্টি উদ্বোধন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৪

হাফিজ মোহাম্মদ হক।। এই ছোট ছোট পায়ে চলতে চলতে একদিন ঠিক পৌঁছে যাবো ২০২৪ইং বছরে  খাজা ইউনুস আলী ল্যাবরেটরী  এ্যন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ বছরের ক্লাস পার্টি। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম রেজা ও প্রধান শিক্ষক উম্মে হানি মলি তালুকদার। প্রধান শিক্ষক বলেন  শিশুদের সামাজিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ক্লাস পার্টির সুন্দর মূহুর্তগুলো ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের যেসব দক্ষতা ও  মূল্যবোধের সৃষ্টি হতে পারে সহযোগিতা দলগত কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে শিশুরা একে অপরকে সাহায্য করতে শেখে। ভ্রাতৃত্ববোধ ও বন্ধুত্ব: একসঙ্গে খেলা, খাওয়া এবং সময় কাটানোর ফলে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক বিশ্বাস ও বন্ধুত্ব জোড়ালোভাবে  গড়ে ওঠে। সম্মানবোধ: শিক্ষক, বন্ধু, বড় ভাই- বোন এবং পরিবেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্ব তারা শিখে ফেলে।উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি: সবাই মিলে আনন্দ করার মাধ্যমে শিশুরা শিখে, আনন্দ ভাগাভাগি করলে তা আরও বেড়ে যায়। শৃঙ্খলা: সময়মতো উপস্থিত হওয়া, নিয়ম মেনে খেলা, নিয়ম মেনে চলা  এবং অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে শৃঙ্খলার অভ্যাস তৈরি হয়। বিনয় ও কৃতজ্ঞতা: উপহার বিনিময় বা অতিথি আপ্যায়নের সময় বিনয়ী এবং কৃতজ্ঞ হতে শেখায় এবং কিভাবে সবার সাথে শব্দ ছাড়া খেতে হয়। লিডার শিপ আচরণ: ক্লাস পার্টির মাধ্যমে ছোটরা দায়িত্ব বোধ ও নেতৃত্ব শিখে ফেলে কাজ ভাগাভাগির মাধ্যমে। বাজেট অনুযায়ী বাজার, কমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের এই অনুষ্ঠানে কি কি উপাদান লাগে, বাজেট অনুযায়ী কেনাকাটা, দাম জানা, দাওয়াত করা, ক্লাস সাজানো, নিজের ড্রেসাআপ ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভকরে। গনতান্ত্রিক মনোভাব কি কি খাবার অর্ডার করবে এই বিষয়ে মিটিং করা, শ্রেণী শিক্ষকের সাথে পরামর্শ করা ইত্যাদি বিষয়গুলো তারা অনুধাবন করে গনতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।  অর্থনৈতিক বিবেচনা কত টাকা ক্লাস পার্টির চাঁদা তারপর কোন পোশাক পড়বে, নাচ, গান, সাজগোজ, অনুষ্ঠানের উত্তেজনা ইত্যাদি বিষয়ে বাবা-মা’র সাথে শেয়ার করে সমস্যা ও মানুষিক শান্তির সমাধান করা। এগুলো ছোটদের ভবিষ্যতের চারিত্রিক গুণাবলির ভিত্তি স্থাপনে সাহায্য করে। শিশুশিক্ষার্থীদের দায়িত্ববোধ এবং অর্থনৈতিক সচেতনতা তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রস্তুত করে। নিচে এই দুটি বিষয়ের ওপর কিছু  তথ্য দেওয়া হলো দায়িত্ববোধ তৈরি করার উপায় ও গুরুত্ব পরিবারে ভূমিকা। পরিবারের ছোট কাজগুলোতে যেমন খেলার পর খেলনা গুছিয়ে রাখা, নিজের ঘর পরিষ্কার রাখা, এবং পোষা প্রাণীর যত্ন নেওয়া শেখানো। স্কুলে দায়িত্ববোধ পড়াশোনা সময়মতো করা, হোমওয়ার্ক জমা দেওয়া এবং ক্লাসের কাজ সম্পন্ন করা দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে। সমাজে ভূমিকা প্রতিবেশী ও বন্ধুদের প্রতি সহমর্মিতা এবং সামাজিক কাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলা। অর্থনৈতিক বিষয়ে সচেতনতা তৈরি। শিশুদের অর্থের মূল্য বোঝানো এবং এটি কীভাবে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করতে হয় তা শেখান। সঞ্চয়ের অভ্যাস তাদের একটি পিগি ব্যাংক বা সঞ্চয়ের জন্য ছোট খাতা দেওয়া যেতে পারে। এতে তারা অর্থ জমাতে শিখবে। প্রয়োজন বনাম ইচ্ছা প্রয়োজনীয় জিনিস এবং বিলাসিতার মধ্যে পার্থক্য বোঝানো। খরচ করার জ্ঞান তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে ছোটখাটো কেনাকাটার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। এটি তাদের বাজেট পরিকল্পনা শিখতে সাহায্য করে। উদাহরণমূলক কাজ কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানে তাদের নিজে থেকে উপহার কেনার দায়িত্ব দেওয়া। দায়িত্ববোধ শিশুদের আত্মনির্ভরশীল ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। অর্থনৈতিক বিষয়ে সচেতনতা তাদের ভবিষ্যতের আর্থিক পরিকল্পনায় সহায়ক হয়। এ দুটি গুণ তাদের জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা তৈরি করে এবং সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। অনুষ্ঠানটি বিকেল ৪টা দিকে সমাপ্তি ঘোষনা করেন উম্মে হানি মলি (প্রধান শিক্ষক) খাজা ইউনুস আলী ল্যাবরেটরী স্কুল এ্যন্ড কলেজ।