ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মুস্তাকিমের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে হুমকিসহ নানা অভিযোগ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৪ মোঃ তরিকুল ইসলাম।।নারী নির্যাতনকারী, নারীলোভী এবং বহুবিবাহে আসক্ত বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার উত্তর ফুলহাতা গ্রামের মোঃ ইসমাইল ফকিরের বড় ছেলে হাফেজ মোঃ মুস্তাকিম বিল্লাহ। তার বিরুদ্ধে বহু বিবাহ করে পরপর দুজন স্ত্রীকে তালাক ও দ্বিতীয় স্ত্রী মিতু খানম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর অভিযোগ ও প্রতারনার সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক মুন্নাকে রেডি থাকার হুমকি দিয়েছে ওয়াটর্সআপে । মুস্তাকিম প্রায় ১৪ বছর ওমানে বসবাস করেন। সাতক্ষীরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুক মামলায় সে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। তার বিরুদ্ধে ৪টি বিয়ে এবং ৩জন স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি ও যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে পেয়েছেন সাংবাদিক মহল। এ অভিযোগের বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে ফোন করা হয় গত ৭ নভেম্বর ওয়াটসআপে। কোন অপরাধে ২ জন স্ত্রীকে ডিভোর্স দিলেন এবং কেন দ্বিতীয় স্ত্রী আপনাকে তালাক দিলেন প্রশ্ন করলে তিনি রেগে যান মারমূখী আচরণ করে মিথ্যা ও বানোয়াট নানা অজুহাত দেখিয়ে বেশি বাড়াবাড়ী করলে জাতীয় দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালের চিত্র ও ভয়েস অব সাতক্ষীরার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ নাজমুল আলম মুন্নাকে রেডি থাকার হুমকি দিয়ে মেসেজ করেন ওমান প্রবাসী মুস্তাকিম বিল্লাহ ওরফে মিলন।উল্লেখ্য যে খুলনা শহরের পশ্চিম টুটপাড়া মওলার মোড় এলাকার মোঃ আমান উল্লার মেয়ে মুবাশশিরা বিনতে আমান (২৩) এর সাথে ওমান প্রবাসী মুস্তাকিম বিল্লার সাথে একলক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় গত ৪ জুন ২০২২ তারিখে। বিবাহের দেড় বছরের মাথায় ওমান থেকে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে ৩য় স্ত্রী মোবাশশিরাকে তালাক নামা পাঠায়। এ খবর পেয়ে মেয়ের পরিবার মুস্তাকিম ও তার পিতা মাতার সাথে যোগাযোগ করলে প্রতারক মুস্তাকিমসহ তার পরিবার স্ত্রীর সাথে অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক থাকার কথা সামনে আনেন এবং স্ত্রীসহ শশুরবাড়ীর সকলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে গত ১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমতলী ৪ নং (কলারোয়া) আদালতে মামলা করে ভুক্তভোগী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে গত ৪ জুন ২০২২ ইং তারিখে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক খুলনা শহরের পশ্চিম টুটপাড়ায় পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় তাদের। এসময় মুস্তাকিমের আগের ২টি বিয়ের কথা গোপন রেখেছিল মুস্তাকিম ও তার পরিবার। এরপর তিন মাস দেশে থেকে সংসার করার এক পর্যায়ে জমি কেনার কথা বলে শশুরবাড়ী থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা হাওলাত নিয়ে মুস্তাকিম ৭ কাঠা জমি কেনে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের বিলের ভিতর। এসব টাকা ওমানে গিয়ে পাঠানোর কথা থাকলেও সেই টাকা আজও শোধ করেনি ভন্ড, প্রতারক মুস্তাকিম। বিদেশী ছেলের পরিচয়ে এসব বিয়েতে তার পিতা-মাতা, নোনদ ও নোনদাই সবাই সরাসরি জড়িত ছিল। বর্তমানে ৩য় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আরও একটি বিয়ে করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। এভাবে মুস্তাকিম ৩ জন নারীর জীবন ধ্বংস করেছে। ৩য় স্ত্রী মোবাশশিরা মুস্তাকিম বিল্লার চতুর্থ বিয়ের খবর শুনে ও তালাকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্বামী মুস্তাকিমসহ শশুর ইসমাইল ফকির ও শাশুড়ি ছালেহা বেগম, নোনদ ডলি ও তার স্বামী নুরুন্নবী সোহানের নামে সাতক্ষীরা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বিজ্ঞ আমলী (০৪) আদালতে (কলারোয়া) যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলা করে। যার মামলা নং সি.আর ২২৩/২৩। তারিখ ৮/১০/২৩। এই মামলায় ২ ও ৫ নং আসামী মাঝে মাঝে হাজিরা দিলেও মুস্তাকিম বিল্লাহ ওরপে মিলন বিদেশে (ওমানে) পলাতক থাকায় এবং কোর্টে হাজিরা না দেওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৭৫ ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে কোর্ট। যার স্মারক নং ২৮৮৮/সদর কোর্ট সাতক্ষীরা স্মারক নং ৪৫৮৮ । তারিখ ০৬/১১/২৪। প্রোসেস নং ১০৫৮/২৪ (সাতঃ)( Mohammad Mustakim Billah. পাসপোর্ট নং BR 0380172) সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে নভেম্বর মাসে মোস্তাকিম বাংলাদেশে এসেছে। খোজ খবর নিতে গিয়ে কথা হয় মুস্তাকিমের চাচাতো ভাই আসলামের সাথে তিনি বলেন ওদের পরিবার একেবারে বাজে। ওদের আচরণ জানোয়ারের চেয়েও খারাপ। তারা মানুষকে মানুষ মনে করেনা। এলাকায় তাদের সাথে কেউ মেশে না। আরও কথা হয় মোস্তাকিমের সাবেক ভগ্নিপতি ওমান প্রবাসী ফারুকের সাথে তিনি জানান আমার সাথে বিয়ে হয় মোস্তাকিমের ছোট বোন ডলির সাথে। সেই সূত্রধরে আমি মুস্তাকিম ও তার ছোট ভাই মিরাজকে ওমানে নিয়ে আসি। তারা বর্তমানে অবৈধ টাকার মালিক বনে গেছে। ওদের পরিবার আমার সাথে চরম বেইমানি করেছে। তারা দুইভাই ওমানে আসার পর বিভিন্ন যায়গায় নারী ও মদ সাপ্লায় দেয়। আমি ওমানে থাকাকালিন আমার শশুর-শাশুড়ির ইন্দনে এবং মুস্তাকিম ও মিরাজের প্ররোচনায় আমাকে ডিভোর্স দিয়ে আ.লীগ নেতা নুরুন্নবী সোহান আমার স্ত্রী ডলি ও আমার মেয়ে এবং বিভিন্ন মালামালসহ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার হাতিয়ে নিয়ে। তারা প্রথমে অভাবগ্রস্থ্য মেয়েদের সোনাদানা, অর্থ ও বিদেশে নিয়ে রাজরানী করে রাখার প্রলোভন দেখিয়ে সর্ব প্রথম পারিবারিকভাবে বিয়ে করে। এরপর ২/৪ মাস সংসার করে ওমানে নেওয়ার জোর চেস্টা চালায় এবং বিভিন্ন ওজুহাতে টাকা দাবি করে। তারপর মেয়ের পরিবার টাকা দিতে অপারগতা ও মেয়েকে ওমানে না পাঠাতে চাইলেই রাগ হয়ে মুস্তাকিম ওমানে চলে যায় এবং সেখান থেকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে এপর্যন্ত তিনজন মেয়ের জীবন সর্বনাশ করেছে বলে তার আত্মীয় স্বজন অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে মুস্তাকিম বিল্লাহ মিলন আরও একটি বিয়ে (৪র্থ) করেছেন বলে ওর একাধিক আত্মীয়রা নিশ্চিত করেছেন। এবিষয়ে মুস্তাকিমের এক ঘনিস্ট আত্মীয় বলেন মিলন ও তার ছোট ভাই ওমানে থাকে তারা মূলত বিভিন্ন বাড়ী, হোটেলে নারী সাপ্লাইকারী। তারা দুইভাই গাড়ীর মেকানিক/ওয়াশের কাজের পাশাপাশি ওমানে গোপনে লাইসেন্স বিহিন মদ ও নারী সাপ্লায়ের কাজ করে লাখোপতি বলে গেছে। তারা শুধু ওমানে না বিগত দিনে বাংলাদেশের ঢাকা ও বাগেরহাটে নারীর ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। তারা দেশ থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনেক লোকজন বিদেশে নিয়ে অত্যাচার নির্যাতনসহ পথের ফকির করে দিয়েছে। এ ব্যপারে তালাকপ্রাপ্ত অসহায় স্ত্রী মোবাশশিরা বিনতে আমানসহ তার পরিবার এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও প্রতারক মুস্তাকিমকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এব্যপারে কথা হয় বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার রোমজাইপুর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান ও তার বড় মেয়েমুস্তাকিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মিতু খানমের সাথে। তারা জানান ২০১৮ সালে মুস্তাকিমের সাথে বিয়ে হয়। এরপর এই বিয়ে মাত্র একমাস টেকে। এর মূল কারনবিয়ের আগে কথা ছিল মেয়েকে লেখাপড়া করাবে এবং পরবর্তীতে চাকরি করার সুযোগ দেবে এবং শহরে আলাদা বাড়ি করে দেবে অথচ বিয়েরপর তাদের সেই কথার কোন গুরুত্ব না দিয়ে ওয়াদা ভঙ্গ করে গ্রামের বাড়ীর কাজের মহিলার মত ব্যবহার করতে থাকে। প্রকৃত পক্ষে মুস্তাকিম ও তার পরিবারের লোকজন প্রতারক ছিল। আমরা খোজখবর নিয়ে জানতে পারি তার আগে একটি বিয়ে ছিল এবিষয়ে তারা গোপন করে আংটি পরিয়ে যায়। তখন আমরা এ বিয়েতে রাজি হয়নি পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ওদের আত্মীয় স্বজন ভিষনভাবে ধরাধরি/জোরাজুরি করে আড়াই লাখ টাকা দেনমোহরের বিয়ে হয়। মূলত তখন থেকেই সংসারে গন্ডগোল ও মনকষাকশির শুরু। তাছাড়া মুস্তাকিম ওমানে বসে স্ত্রীকে শুশুরবাড়ীতে দাসিরমত বাপ-মায়ের খেদমত করার তাগিত এবং মার্টার্স পাস পর্যন্ত লেখাপড়া করতে বাধা দেওয়ায় আমি বাপেরবাড়ী চলে আসি আর শশুরবাড়ী যাইনি। এরপর ওরা ৩/৪ মাস পর ওদের পরিবারসহ এলাকার মেম্বার ও আ.লীগ নেতাদের নিয়ে আমাদের বাড়ীতে আমাকে নিতে আসে তখনও আমরা তার সাথে ঘরসংসার না করার কথা সাফ জানিয়ে দিয়ে ছেলেকে ডিভোর্স লেটার পাঠাই।এ বিষয়ে মোড়লগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শওকাত বলেন ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী মুস্তাকিম বিল্লাহ ওমান থেকে দেশে আসলেই আইনের আওতায় আনা হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: