বিস্ফোরক মামলার আসামীর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণে দৌঁড়ঝাপের অভিযোগ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪

কোহিনূর আলম।।বিস্ফোরক মামলার আসামী নেত্রকোণার কেন্দুয়া সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম খসরুর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণে দৌঁড়ঝাপের অভিযোগ ওঠেছে ।জানা গেছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর কেন্দুয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের পদটি শূন্য হতে যাচ্ছে । শূন্য পদটি পাওয়ার আশায় মোঃ শফিকুল ইসলাম খসরু দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন । এ নিয়ে কলেজে ও কলেজের বাইরে আলোচনা – সমালোচনার ঝড় ওঠেছে । সরেজমিনে কলেজের একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীর সাথে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শফিকুল ইসলাম খসরুর অধ্যক্ষের পদে আগ্রহ ও দৌঁড়ঝাপকে ভালোভাবে নেয় নি বলে মন্তব্য করেন তারা ।উক্ত কলেজের জনৈক প্রভাষক বলেন, একজন শিক্ষক বিস্ফোরক মামলার আসামী ; এটা আমাদের জন্যে লজ্জার । জনপ্রশাসন আইনে এমন ব্যক্তির কোনভাবেই পদোন্নতি, চলতি বা ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব গ্রহণের সুযোগ নেই । কিন্তু তাঁর বিভিন্ন কার্যকলাপে দৌঁড়ঝাপের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে । যা কারোরই কাম্য নয় ।অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম খসরুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ  করে বলেন, এ বিষয়ে পরে সামনাসামনি কথা হবে ।এ বিষয়ে কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে জানান, সব বিষয়ে আমি অবগত আছি । তিনি আরো বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী সব কিছু সম্পন্ন হবে ।তাছাড়া এই দৌঁড়ঝাপের আলোকে গত ৮ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর বিস্ফোরক মামলার আসামী শফিকুল ইসলাম খসরু-কে কেন্দুয়া সরকারি কলেজ, নেত্রকোণা এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব না দেওয়া এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মামলার কপি সংযুক্ত করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখানোর লিখিত অভিযোগ  জানানো হয় । যার ডকেট নাম্বার ১৪২০৬ ।উল্লেখ্য গত ৫ সেপ্টেম্বর জেলা ওলামা দলের সিনিয়র সহসভাপতি ও উপজেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান কাদেরী বাদী হয়ে মোঃ শফিকুল ইসলাম খসরুসহ ১০৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন ।মামলার তদন্তকারীকর্মকর্তা এসআই কামাল আহমেদ বলেন, টাকার বিনিময়ে মামলার চার্জশিট থেকে কারো নাম বাদ দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব । মামলাটি এখনো তদন্তধীন রয়েছে ।এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা তদন্তাধীন । তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।