প্লাস্টিক বর্জ্যে বন্ধি হচ্ছি না তো আমরা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
মো. আরিফ।। আপনি কি জানেন? বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী! যা পরবর্তীতে পরিবেশ ও আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও বিষাক্ত রাসায়নিক ছড়ায়। এই ক্ষতিকর বিষক্রয়ার ফলা মানবসমাজ পরবে চরম দূর্ভোগে। মাইক্রোপ্লাস্টিক এর ফলে হতে পারে থাইরয়েড ও কিডনিজনিত সমস্যা ছাড়াও হতে পারে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য অসুখ।সম্প্রতি পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা-ESDO এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৩.১৫ থেকে ৩.৮৪ বিলিয়ন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল ব্যবহৃত হয়। যার মধ্যে মাত্র ২১.৪% রিসাইকেল করা হয়। আর বাকি ৭৮.৬% প্লাস্টিক বোতল নদী, সমুদ্র এবং ডাম্পিং স্টেশনে জমা হয়। এই একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল ৪৫০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকে, যা পরবর্তীতে পরিবেশ ও আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও বিষাক্ত রাসায়নিক ছড়ায়।প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞা আইন দুষণ এবং জীববৈচিত্র্যের হুমকির কথা বিবেচনা করে পেট্রোলিয়াম বা জীবাশ্ম জ্বালানির থেকে তৈরি পলিমারের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। ২০২২ সাল পর্যন্ত, ৯৯ টি দেশে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রবর্তন করা হয়েছে এবং ৩২ টি দেশে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে প্রতিটি ব্যাগের উপর নির্দিষ্ট হারে চার্জ আরোপ করা হয়েছে।বাংলাদেশ ২০০২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম প্লাস্টিকের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তবুও বর্তমানে বাংলাদেশে অসংখ্য প্লাস্টিক উৎপাদনকারী কারখানা রয়েছে।পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বছরে একজন মানুষ প্রায় ৫ কেজি পর্যন্ত প্লাস্টিক জাতীয় উপাদান ব্যবহার করছে। যদিও জিডিপি ও কর্মসংস্থানে প্লাস্টিক জাতীয় উপাদানের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। কিন্তু পরিবেশগত দিক দিয়ে প্লাস্টিকের পরিবর্তে বিকল্প চিন্তায় অগ্রসর হওয়া অত্যন্ত জরুরি।পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে করা এক গওবষণায় পদ্মা থেকে বঙ্গোবসাগরের ওই বিস্তৃত এলাকজুড়ে মোট ৫৬ হাজার প্লাস্টিক পন্যের নমুনা সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশে প্রতিদিন তিন হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। এর একটি অংশ প্লাস্টিক বর্জ্য দেশের বিভিন্ন নদ-নদী এবং ভবাগকে মারাত্মকভাবে দূষিত করছে।প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। আইন বাস্থবায়ন করা দেশে ২০০২ সালে আইন পাশ হলেও এখনো নেই তার কার্যকারিতা, সাধারন মানুষকে সচেতন করতে হবে যাতে অযথা প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো জন্য। প্লাস্টিক এর বিকল্পকে উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যেমেই প্লস্টিক ব্যবহার কমানো সম্ভব।