নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে শুভেচ্ছা না জানানোয় চরফ্যাশন উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব ও মুয়াজ্জিনের বেতন আটকে গেছে দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২৫ মোঃ আশরাফুল ইসলাম।। নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) শুভেচ্ছা না জানানোয় চরফ্যাশন উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব ও মুয়াজ্জিনের বেতন আটকে গেছে। শাস্তিস্বরুপ এক সপ্তাহ নিয়ম করে প্রতিদিন দেখা করার পরে বেতন হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) দুপুরে নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন মডেল মসজিদের খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন ও মুয়াজ্জিন হাফেজ আবুল কালাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ইকরাম। ঘটনার সময় উপস্থিত স্থানীয় ব্যবসায়ী হুমায়ুন বলেন, ইউএনও খতিব ও মুয়াজ্জিনকে উদ্দেশ করে বলেন, দুই মাস হলো এসেছি, কেন দেখা করেননি। বাবা-মা চিনেন না, খালা খালু চিনলে হবে? জবাবে খতিব বলেন, আমরা এসেছি কিন্তু অন্য মানুষের ভিড় থাকায় ঢুকতে পারিনি। এতে আরও উত্তেজিত হয়ে ইউএনও বলেন, ‘দাঁড়িয়ে থাকলেন না কেন, ৪-৫ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন তবুও দেখা না করে যাবেন না। আগামী এক সপ্তাহ নিয়ম করে দেখা করবেন তাহলে বেতন পাবেন।’ প্রতক্ষদর্শী হুমায়ুন বলেন, হুজুরদের বসতেও দেওয়া হয়নি, তারা খুবই লজ্জা পেয়েছেন। এ ধরণের ঘটনায় আমরা উপস্থিত সবাই বিব্রত হয়েছি।একপর্যায়ে স্থানীয় যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম রাসেল হুজুরদের বেতন ছাড় করার অনুরোধ করেন।কিন্তু কারও কথাই রাখেননি ইউএনও। জাহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘আমি অনুরোধ করেছি কিন্তু ইউএনও সাহেব স্বাক্ষর করেননি। তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন, কারণ তারা দেখা করেননি। আমরা বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করব।’নাম প্রকাশ না করে উপজেলা অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘স্যারের আচরণে সবাই হতবাক হয়ে যায়, কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেনি। শেষ পর্যন্ত বেতন শিটে স্বাক্ষর না করেই তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ জানতে চাইলে খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা দেখা করতে গিয়েছিলাম কিন্তু ভিড়ের কারণে সুযোগ পাইনি।’ইসলামি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ইকরাম বলেন, ‘স্যারের সঙ্গে দেখা না করায় তিনি একটু রাগ করেছেন। আশাকরি আগামী সপ্তাহে তিনি বেতন শিটে স্বাক্ষর দেবেন।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার বাধ্যবাধকতা আছে কি না জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভোলা জেলা উপ পরিচালক মো. মাকসুদ বলেন, ‘এমন কোন নিয়ম নেই। আমি খোঁজ নিয়ে ইমামরা যাতে বেতন পায় সেটি নিশ্চিত করব।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি বলেন, ‘অভিযোগ সত্য নয়।’ SHARES সারা বাংলা বিষয়: