কয়রায় গোয়ালঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে গরু ও ছাগল দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫ অরবিন্দ কুমার মণ্ডল । । স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কয়রা উপজেলার খিরোল গ্রামে হাফিজুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির মৎস্য ঘেরের রাস্তায় অবস্থিত গোয়াল ঘরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে করে আগুনে পুড়ে মারা গেছে গোয়াল ঘরে থাকা ১ টি গরু ও ২ টি ছাগল । এ ছাড়া আগুনে দগ্ধ হয়েছে আরও ৩ গরু ও ৪ ছাগল। গত ২৩ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। সকালে এই অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ শুনে গ্রামবাসী গোয়াল ঘর দেখতে ভিড় জমায়। তারা ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের বের করে শাস্তির দাবি জানান। স্থানীয়রা জানায়, ৬ বিঘা জমি হারি নিয়ে মৎস্য ঘের করে মাছ ফসল উৎপাদন করে আসছে হাফিজুল সরদার। সে ঐ ঘেরের মাঝখান বরাবর একটি গোয়ালঘর করে সেখানে গরু ছাগল পালন করে। বর্তমানে তার ঘেরে মাছ না থাকার কারণে সে কয়দিন ধরে রাত্রে বাড়িতে অবস্থান করে। ঐ সুযোগে দুবৃত্তরা গোয়াল ঘরে আগুন দিয়ে গরু ও ছাগলগুলো পুড়িয়ে মেরেছে। হাফিজুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাত আমার পাশের ঘরের এক ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলেন তোমার ঘেরের গোয়ালে দেখো আগুন জ্বলছে, আমি সাথে সাথে বাড়ি থেকে এসে দেখি আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে । এ সময় আমার হাক চিৎকারে বাড়ির আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে দেখতে পায় গোয়ালে একটি গরু ও দুটি ছাগল মারা গেছে । এ ছাড়া আগুনের তাপে ৩ টি গরু ও ৪ টি ছাগল দগ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। তার দাবী গোয়াল ঘরে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। সেহেতু কে বা কারা আগুন দিয়ে এই ক্ষতি করেছে। ঐ গ্রামের কামরুল সানার স্ত্রী খাদিজা খাতুন বলেন, আগুন দিয়ে গবাদী পশু মারা ঠিক হয়নি। এর সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হাসানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি কে বা কারা রাতের আঁধারে গোয়ালঘরে আগুন দিয়েছে। গোয়ালে থাকা ১ টি গরু ও ২ ছাগল মারা গেছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: