হত্যার চেষ্টায় গুলি করে পালানোর সময় আটক তিন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪

সব্যসাচী,অভয়নগর। যশোর জেলার অভয়নগর ও মনিরামপুর উপজেলার সীমান্তে মৃনাল কান্তি মন্ডল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা চেষ্টায় গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনগণের হাতে আটক হয় তিন সন্ত্রাসী। তারা দুইজন অভয়নগর উপজেলার বাসিন্দা এবং অপরজন মনিরামপুরের।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারী২০২৪ তারিখ আনুমানিক রাত ০৯.০৫ ঘটিকায় মনিরামপুর থানাধীন কুলটিয়া মোড়ে জনৈক নিপুন বিশ্বাসের তেলের দোকানে স্থানীয় মানবেন্দ্র মন্ডল(৩৮) কে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে দুই মটরবাইকে মোট ছয়জনের একটি সন্ত্রাসীদল। মানবেন্দ্র মন্ডলের পিতার নাম মৃনাল কান্তি মন্ডল। সন্ত্রাসীরা গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনগনের ধাওয়া খেয়ে একজন মোটরসাইকেল আরোহী আটক হয়। এবং থানা ও ডিবি পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে অবগত করার সাথে সাথে দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে পৌছে গ্রেফতারকৃত মোটরসাইকেল আরোহীর তথ্য মতে অভিযান পরিচালনা করে। তাদের বিচক্ষণতায় আরো ২ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। আহত গুলিবিদ্ধ মানবেন্দ্র মন্ডলকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনা সংক্রান্তে আহত মানবেন্দ্র মন্ডলের পিতা মৃনাল মন্ডল বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আহত মানবেন্দ্র মন্ডল শার্শা উপজেলায় “দিশা” নামক একটি এনজিও-র শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করেন। নিজের এলাকার মাছের ঘের নিয়ে প্রতিপক্ষদের বিরোধের জেরে এ হত্যা চেষ্টা চালায়। অভয়নগরের বিশিষ্ট্য নেতা ওলিয়ার মোল্লা হত্যা মামলার আসামী দূর্জয় ও শিশিরের মাধ্যমে সহযোগী অন্যান্যদের নিয়ে মানবেন্দ্র মন্ডলকো হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে, কিন্তু গুলি লক্ষভ্রস্ট হয়ে প্রানে বেঁচে যায় মানবেন্দ্র। গ্রেফতারকৃত আসামী:
শিশির মন্ডল(৩০) পিতা-নারায়ন মন্ডল,অভয়নগর উপজেলার সমসপুর গ্রামের বাসিন্দা। আঃ হান্নান গাজী(৩৮), পিতা-মৃত সোহরাব গাজী, সে একই উপজেলার বুইকারা গ্রামের বাসিন্দা। এবং তন্ময় সরকার(১৯), পিতা- অমল সরকার, সে মনিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে বসবাসরত।গ্রেফতারের সময় সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, লোহার রড এবং অবিস্ফোরিত একটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। জনসাধারণের দাবি এভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। সন্ত্রাস দমনে উচ্চ শ্রেণির সচেতন মহলের হস্তক্ষেপসহ যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন।