ভাঙ্গায় এক গৃহবধূ লাশ উদ্ধার দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫ মোঃ রিপন শেখ।। ভাঙ্গায় মারিয়া আক্তার মুন (১৭) এর লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। শুক্রবার (৩১ জানুয়রি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এরপর দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়নের পীরেরচর গ্রামে। মারিয়া আক্তার মুন পীরেরচর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাহাবুল মাতুব্বরের মেয়ে ও একই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী শেখ ইমরান হোসেন ওরফে ইমুন (২২) এর স্ত্রী। এলাকাবাসী ও দুই পরিবার সূত্রে জানা যায়,মারিয়া মুন এর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মোকসেদ পুর উপজেলা বাটকামারি ইউনিয়নের বাহাবা গ্রামে আশিক সাথে পালিয়ে গিয়ে দুজনে মিলে বিয়ে করেন। (মুন)৬ মাস স্বামীর সাথে ঘর সংসার করা পর আশিক কে ডিভোর্স দিয়ে মুন বাড়িতে চলে আসে।এর পর মারিয়া আক্তার মুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় প্রতিবেশি ইমরান হোসেন ওরফে ইমুনের সঙ্গে। গত ১৩ ডিসেম্বর দুই পরিবারের সম্মতিতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মারিয়া ও ইমরানের বিয়ে সম্পন্ন হয়। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মারিয়া মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামী ইমরানকে ভাত খাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তখন মালয়েশিয়ায় ভোর ৫টা। ঐ হোটেল বন্ধ থাকায় ইমরান এ সময় ভাত খেতে রাজি হয় না। দাবী না মানায় এক পর্যায়ে মারিয়া ফোন বন্ধ করে দেয়। ইমরান মারিয়াকে ফোনে না পেয়ে এর বাড়িতে থাকা মারিয়ার দাদা আলমগীর মাতুব্বর (৭০) কে ফোন দেয়। আলমগীর মাতুব্বর ঘুমানো থাকায় ফোন রিসিভ করেননি। এরপর ইমরান তার নিজের বাবা ও মাকে ফোন দিয়ে জানায় মারিয়াকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। তোমরা মারিয়াদের বাড়িতে যাও। ছেলের ফোন পেয়ে ইমরানের বাবা ও মা রাত ৩টার মারিয়াদের বাড়িতে আসেন। এরপর মারিয়া ও তার দাদাকে ডাকতে থাকেন। মারিয়ার দাদা উঠে ঘর খুলে দেয়। এরপর এরা তিনজন মারিয়ার রুমে গিয়ে দেখেন মারিয়া ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলছে থাকে। এরপর এরা মারিয়াকে ফ্যান থেকে নামান হয়। ততক্ষণে মারিয়া আর বেঁচে নেই। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোকছেদুর রহমান বলেন, মারিয়া আক্তার নামে এক গৃহবধূ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: