নওয়াপাড়ার সারের বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪

সব্যসাচী বিশ্বাস,যশোর। যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার শিল্প ও বন্দর নগরী খ্যাত নওয়াপাড়ার সারের বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা আদায়, সার জব্দ ও নকল বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১৮ ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪ রোববার বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান ও উপজেজলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন এবং অভয়নগর থানার পুলিশ ফোর্স নওয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামানের দি-মনির এন্টারপ্রাইজে সরকারী বরাদ্দের সার মজুদ রাখার দায়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং তা আদায় করেন।

একই সাথে তার গুদাম থেকে ১ হাজার ৫শ’ ২৩ বস্তা সরকারি বরাদ্দের (এমওপি, টিএসপি, ডিএপি) সার উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারী এ বরাদ্দের সার বরাদ্দকৃত ডিলারের নিকট না পাঠিয়ে অধিক দামে অন্যত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখার দায়ে তাকে এ জরিমানা করা হয় বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া উক্ত সার জব্দ করে তা খোলা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হবে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান।

অপর দিকে একই সময় সরকারি সারের বস্তা নকল করে তা বাজারজাত করার দায়ে বাদল নামের বস্তা ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়েছে। নকল বস্তা কারবারি নিউ সোনালী এন্টারপ্রাইজ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও নাম ঠিকানা বিহীন আপেল ও শাপলা মার্কা বস্তা বাজার জাত করার দায়ে দুইটি বস্তার গোডাউন তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান জানান, সরকারের বরাদ্দকৃত সার উত্তোলন করে তা সঠিক জায়গায় না পাঠিয়ে অধিক দামে বিক্রির মানসিকতায় ১৫শত২৩ বস্তা সার গুদামজাত করে রাখার দায়ে সার ব্যবস্থাপনা ৮/২ ধারায় দি মনির এন্টারপ্রাইজকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও সরকার নির্ধারিত দামে উক্ত সার বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া বস্তা নকল করে বিক্রির দায়ে ভোক্তা অধিকার আইনে বাদল নামের একজনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও দুইটি বস্তার গুদাম (এবিএস ও এমএস) সিলগালা করা হয়।এব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম আবু নওশাদ জানান, জব্দকৃত সার অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিষ্ট্রেট বিলিবন্টনের আদেশের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, এবং সাধারণ চাষীদের ন্যায্য দামে পাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।