উপকূলে ঘন কুয়াশা, আমের মুকুল ঝড়ে পড়ার আশঙ্কা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫ অসীম দেবনাথ।। উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে বেশ কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে এমন অবস্থা বিরাজমান। দিনে গরম, গভীর রাত থেকে ঠান্ডার সাথে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে যা সকাল নয়-দশটা পর্যন্ত স্থানীয় হয়। ঘন কুয়াশায় যানবাহনের চলাচলের সমস্যা থাকার পাশাপাশি এর প্রভাব পরছে আমের মুকুলের উপর। এ উপকূলে পথে প্রান্তের, গ্রামীন জনগোষ্ঠীর দু’চারটা আম গাছ নেই এমন পরিবার পাওয়া যায় না। অনেকাংশেই এই আম থেকে চাহিদা পূরণ করেন। কিন্তু এ বছরের ঘন কুয়াশার কারণে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই এলাকায় রপ্তানিকৃত আমের বাজার দাম বেশি থাকায়, স্থানীয় আম অনেকাংশেই চাহিদা পূরণ করে। আকম্মিক পরিবেশের এমন আচরণে আমের ফলন নিয়ে চিন্তায় আম চাষিরা। অনেক আম চাষিরা বেশি মুকুল পাবার আশায় আম গাছে ফ্লোরোজেন গ্রুপের স্প্রে করলেও রক্ষা পাচ্ছে না ঘন কুয়াশার হাত থেকে। এলাকায় সরজমিনে দেখা যায়, আমের মুকুল কালচে বর্ণ ধরন করছে, কিছু গাছের মুকুলও ঝড়তে শুরু করছে। এ সময় আম চাষি ইমরান জানায়, এ বছর গত বছরের তুলনায় আমের মুকুল বেশি ধরছিলো, কিন্তু গত কয়েক ধরে যে ভাবে কুয়াশা আচ্ছন্ন হচ্ছে,তাতে আমের মুকুল ঝড়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। চিন্তার ভাঁজ কপালে আরেক আম চাষি মো: আব্বাস জানায়, কেবল গত সপ্তাহে আমের মুকুলে বাগান ভরে গেছিলো, বেশ কয়েক দিনের ঘন কুয়াশায় এবার আম নিয়ে চিন্তায় আছি। এসময় কৃষিবিদ লিটন কুমার ঢালী জানায়, জানুয়ারির শেষে আর মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমে মুকুল এসে থাকে, মার্চের দু’সপ্তাহের মধ্যে মুকুল গুলো গুটি আমে পরিনত হয়। আমের মুকুল অবস্থায় মুকুলের শত্রু পরিবেশের ঘন কুয়াশা। আর এই ঘন কুয়াশায় পাউডারি মিলডিউ নামক ছত্রাকের কারণে আমের মুকুলের ব্যাপার ক্ষতি হয়ে থাকে। এমন ঘন কুয়াশা দু’এক সপ্তাহ চলতে থাকলে এই এলাকায় আমের ফলন কম হতে পারে। তবে পরিবেশ অনুকূলে আসলে ফলন ভালো হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: