মুন্সীগঞ্জে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫

মোঃ সোহেল রানা।। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ.টি.এম. আজহারুল ইসলাম এর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জ জেলা জামায়াত অফিসের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিসি অফিসে গিয়ে শেষ হয়। জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আনুমানিক ১০ হাজার নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় নেতাকর্মীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের ব্যানারে এবং তাদের দলীয় লোগো সম্মিলিত ফেস্টুনসহ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। মিছিল পূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোসীন ভাবে ভারতীয় প্রভুত্ববাদ মেনে না নেওয়ায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপর নির্যাতনের স্টীমরোলার চালিয়েছে। ক্যাঙ্গারু ট্রাইবুনালের মাধ্যমে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা ও কারান্তরীণ করা হয়েছে।  ৫ আগস্টে দেশ স্বৈরাচার, ফ্যাসিজম থেকে মুক্ত হওয়ার পর অনেকেই কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে জামায়াত নেতা এ.টি.এম. আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয় নাই। অন্যায় ভাবে তাকে জেলে এখনো আটকে রাখা হয়েছে। বক্তারা বলেন দ্রুত সময়ের মধ্যে এ.টি.এম. আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিয়ে ও দলীয় নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আয়োজিত সমাবেশে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জনাব মাওলানা এ.কে.এম. ফখরুদ্দিন রাজি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মুন্সিগঞ্জ জেলার আমীর জনাব মাওলানা আ.জ.ম. রুহুল কুদ্দুস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ.জ.ম. রুহুল কুদ্দুস বলেন, এ.টি.এম. আজহারুল ইসলামকে সাজানো মিথ্যা মামলার মাধ্যমে ১৩ টি বছর জেলখানায় বন্দি করে রেখেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। ১লা আগস্টে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে ৫ তারিখে লেজ গুটিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছে। এ.টি.এম. আজহারুল ইসলাম সাহেব ১৯৬৮ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে পড়ালেখা শেষ করেন। তাহলে ১৯৭১ সালে হত্যাকান্ডে তিনি জড়িত থাকেন কিভাবে। তার সাজানো মামলার সাক্ষী একজন বলেছে ৩ কিলোমিটার দূর থেকে তাকে দেখেছে। আর একজন বলেছে ৬ কিলোমিটার দূর থেকে দেখেছে। অবিলম্বে এ.টি.এম. আজহারুল ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি ও দলের নিবন্ধন এবং দলীয় প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানান। নয়তো দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে আদায় করা হবে। আরো বক্তব্য দেন, জেলার নায়েবে আমির জনাব মাওলানা নুরুল হক পাটোয়ারী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্যবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি জনাব মোঃ খিজির আব্দুস সালাম, সেক্রেটারি জনাব মোঃ মজিবুর রহমান এবং বিভিন্ন উপজেলার আমীরগণ।