ভোগান্তির আরেকনাম বাঞ্ছারামপুর বিশনন্দির ফেরিঘাট। 

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৫
রিপন মিয়া সরকার।।
প্রত্যেকদিন  হাজার হাজার লোকের যাতায়াত বাঞ্ছারামপুরের বিশনন্দী ফেরি ঘাটের মাধ্যমে। ঢাকার সাথে খুব অল্প সময়ে যোগাযোগের সবচেয়ে সুন্দর মাধ্যম হচ্ছে বাঞ্ছারামপুরের বিশনন্দি আড়াইহাজারের ফেরিঘাট।
প্রত্যেকদিন বাঞ্ছারামপুর নবীনগর মুরাদনগর উপজেলার প্রবাস গামী হাজার হাজার লোকের, প্রত্যেকদিন হাজার হাজার টন পণ্য পরিবহন গাড়ি,  আসা-যাওয়া করেই ফেরির মাধ্যমে।   ঢাকাতে অনেকে গ্রাম থেকে গিয়ে চাকরি করে সব মিলিয়ে প্রত্যেকদিনই খুব ব্যস্ত থাকে বাঞ্ছারামপুরে
বিশনন্দীর ফেরিঘাট।
অনেক অসুস্থ রোগী  উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শহরে  যায় এম্বুলেন্স, কেউবা  যায় লোকাল গাড়িতে। ফেরি পারাপার হতে সময় লাগে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট এ সময় টুকু অনেক সুস্থ এবং অসুস্থ মানুষ ফেরি পারাপারের সময় বসার জন্য কোন জায়গা পায়  না।  অথচ ফেরিতে ৩০ থেকে ৪০ ফুট লম্বা একটি যাত্রী ছাউনি রয়েছে। যেখানে বসার জন্য সুন্দর টেবিলে রয়েছে।  অথচ এক অসাধুচক্র বছরের পর বছর দিনের পর দিন চাঁদার মাধ্যমে এই ফেরির -যাত্রী চাউনিতে দোকান বসিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।  প্রশাসন একদম নীরব ভূমিকা পালন করছে।
যেখানে বৃষ্টি বাদলের দিনে যাত্রীরা বসার কোন জায়গা পায়না। যাত্রী ও অনেক বয়স্ক জনসাধারণ  ফেরির মাধ্যমে দাঁড়িয়ে থেকে ফেরি -পারাপার হয় । অনেক যাত্রী বলে   আগে আওয়ামীলীগ সরকার থাকতে এক দলীয় আওয়ামীলীগ নেতারা চাঁদার মাধ্যমে যাত্রী ছাউনি  দখল করে চাঁদাবাজি করত।  অথচ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার,  এই সরকারের আমলেও আরেকটি মহল তা বুক দখল করে যাচ্ছে। প্রশাসন নীরব এই নিউজ এর আগেও একটি নিউজ হয়েছে অথচ তার কোন প্রতিকারই হচ্ছে না। এ যেন  রাঘব বোয়ালের কর্মশালা চলছে।
প্রশাসনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করব বর্তমানে মাহে রমজান মাস চলছে, যা যাত্রীরা রোজা রেখে ফেরি- পারাপারের সময় অনেক ক্লান্ত ভোগ করছে ।  এবং সামনে আসছে পবিত্র মাহে রমজানের ঈদ।  এই ঈদ কে ঘিরে হাজার হাজার মানুষের আসা-যাওয়া চলে এই ফেরি ঘাটের মাধ্যমে।  অতি দ্রুত এই যাত্রী  ছাওনির দোকানপাট বন্ধ করে, জনসাধারণের জন্য বসার জায়গা  উন্মুক্ত করা অতি জরুরী।