খানসামায় লিচুর মুকুলে মৌ মৌ গন্ধ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৫

মো. আজিজার রহমান।।

লিচুর রাজ্য দেশব্যাপী বিখ্যাত দিনাজপুর জেলার লিচু। এ জেলায় সব ধরনের লিচু পাওয়া যায়। দেশের বাজার এ জেলার লিচুর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। দিনাজপুরে আপনি পাবেন, হলোন্ধ বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-৩, মঙ্গলবাড়ি, মোজাফ্ফরপুরী, বেদানা লিচু, বারি লিচু-১, বারি লিচু-২, বারি লিচু-৩ ইত্যাদি। বোম্বাই লিচু টকটকে লাল, মাদ্রাজি আগাম জাত, সবচেয়ে ভালো জাত চায়না-৩ লিচু। সে কারণে দিনাজপুরে দিন দিন বাড়ছে লিচু চাষ। প্রতিটি লিচু গাছের শাখায় শাখায় শোভা পাচ্ছে থোকায় থোকায় মুকুল। গাছে মুকুল আসার সাথে সাথে চাষীরা গাছ পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সারাদেশে কম বেশী লিচু চাষ হলেও এ জেলার লিচু সুস্বাদু হওয়ায় এর কদর একটু আলাদা। দিনাজপুরের লিচুকে অনেকটা রসগোল্লা হিসেবে পরিচিত। এ জেলার লিচু সুমিষ্ট, সুস্বাদু ও রসালো। এবার লিচু বাগানগুলোতে ফুল দৃশ্য একটু ব্যতিক্রম। ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে বাগানের প্রতিটি গাছ। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে লিচুর মুকুল। ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। ফুলের ডগায় ডগায় দুলছে মৌমাছি। বাগান মালিকরা আশা করছেন, চলতি মৌসুমে লিচুর বাম্পার ফলন হবে। সে কারণেই এবার পরিচর্যাও কমতি করচেন না লিচু চাষীরা। কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার জেলায় ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে খানসামায় ১৪৫ হেক্টর জমিতে রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন লিচু বাগান, রাস্তা ও বসত বাড়ি ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি লিচু গাছে মুকুলে ভরপুর। লিচু গাছের গোড়ায় পানি সেচ দিচ্ছে বাগান মালিক ও চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদাররা। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য স্প্রে করছেন বিভিন্ন কীটনাশক। ৪নং খামারপাড়া ইউনিয়নের মহসিন হোসেন বলেন, প্রতিটি গাছে পর্যাপ্ত মুকুল ধরেছে। বাগানে পানি সেচ দিচ্ছি এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য স্প্রে ব্যবহার শুরু করেছি। আশা করছি গত বছরের চেয়ে এবারের লিচুর ভালো ফলন হবে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, কমবেশি প্রতিটি গাছে পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, আশা করছি লিচুর ভাল ফলন হবে। আমরাও বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছি যাতে চাষীরা লাভবান হয়।