ভাঙ্গায় চলাচলের রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা,দুর্ভোগে তিনশত পরিবার দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২৫ মোঃ রিপন শেখ।। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ঘোষ গ্রামে ১০ বছর আগের চলাচলের মাটির রাস্তা রাতের আঁধারে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এতে করে দুর্ভোগে তিন শত পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত তিনটার দিকে। স্থানীয় ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় ঘোষ গ্রামের তিনশত পরিবার এই রাস্তা দিয়ে চলা চলাফেরা করে। সেই রাস্তাটি রাতের আঁধারে স্থানীয় শিক্ষিকা চায়না বেগম মাটি কেটে অন্যত্র নিয়ে যায়। দশ বছর আগে তার নিজের জমির উপর দিয়ে রাস্তাটি যায়, সেই সময় রাস্তার বিষয়ে বাধা প্রদান করেননি। এখন কেনো এই রাস্তাটির মাটি কেটে গর্ত করে চলাচলের অযোগ্য করা হল। রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যায়, অটো ভ্যানে করে মালামাল নিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় রেবেকা বেগম বলেন, চলাচলের রাস্তাটি দশ বছর আগে জনগণের কথা চিন্তা করে স্থানীয় জাহাঙ্গীর মুন্সী রাস্তাটি করে দেন। এই রাস্তা দিয়ে ঘোষ গ্রাম ও আশেপাশের অনেক লোকজন চলাচল করে। হঠাৎ বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে চায়না বেগম ২৫-৩০ জন মানুষ নিয়ে রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিলেও আমাদের বাধা অমান্য করে মাটি কাটতে থাকে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য এসে তাকে বাধা দিলে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি রাস্তাটি যেন চলাচলের উপযোগী করে দেন। এ বিষয়ে শিক্ষিকা চায়না বেগম বলেন, এটা কোন রাস্তা না ,এটা পুকুরের পাড়ি। আমাকে মাটি সরিয়ে নেয়ার কথা বলেছে এজন্য আমি মাটি সরিয়ে ফেলেছি। এই রাস্তা বাদেও আরো দশ ফূট আমাদের জায়গা পুকুরের ভিতরে আছে। আমাদের জায়গা আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হোক আমরাও দুই হাত দিব তারাও দুই হাত দিক। তিনি আরও বলেন,এই রাস্তা কাটার সময় আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনদেরকে মাইরধর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ভাঙ্গা উপজেলা ইউএনও অফিসে অভিযোগ জানিয়েছে। গ্রামের ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান,বিভিন্ন মালামাল কাঁধে করে বহন করতে হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মেশকাতুল জান্নাত রাবেয়া জানান, এ বিষয়ে একপক্ষ অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: