কেন্দুয়ায় মশা নিধনে বরাদ্দ নেই : অতিষ্ঠ পৌরবাসিন্দারা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:১৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২৫ নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌরসভায় মশার কামড়ে অতিষ্ঠ পৌর বাসিন্দারা । রাতে তো বটেই দিনেও অনেক বাসা বাড়িতে কয়েল ধরিয়ে বা মশারি টানিয়ে রাখতে হয় । রবিবার (২০ এপ্রিল) পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ পৌর বাসিন্দারা । বিশেষ করে ঘরে বা বাসায় থাকা শিশু, বয়স্ক ও নারীরাদের উপর এর প্রভাব বেশি । কেননা পুরুষরা নানা কারণে বাইরে থাকেন । তবে রাতে তারাও শিকার হোন এই উপদ্রবের । সর্বশেষ কবে মশক নিধন অভিযান পরিচালিত হয়েছিলো সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না পৌর বাসিন্দারা ও পৌর অফিস সংশ্লিষ্টরাও । পৌরসভার নিউ এইজ কিন্ডারগার্টেন সংলগ্ন ড্রেনের দুরবস্থা, সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন, কেন্দুয়া ক্লাব রোডের পাশে, উপজেলা মসজিদের পেছনে-পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় ময়লার স্তূপ ও দুর্গন্ধে পৌরবাসীর প্রায় কাহিল অবস্থা চোখে পড়ার মতো । যেগুলো মশার আদর্শ আবাস স্থল ৷ পৌর শহরের সাউদপাড়া বাসিন্দা ও কেন্দুয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল কাদের নয়ন বলেন, কেন্দুয়া পৌরসভা এখন দ্বিতীয় শ্রণীতে উন্নীত হয়েছে । তবুও নেই পরিকল্পিত শহরায়ন, যথেষ্ট ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও দৃশ্যমান কোন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম । পৌরবাসীর মধ্যেও সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে । তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ কবে মশক নিধন অভিযান পরিচালিত হয়েছিলো আমাদের ওয়ার্ডে তাও মনে নেই । এ ক্ষেত্রে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি । পৌরসভার শান্তিনগরের বাসিন্দা বিশিষ্ট ঠিকাদার ও কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, আমার বাসার পাশেই রাস্তার ড্রেন ভরাট হয়ে আছে । তাছাড়া আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তূপ । যেখানে মশার উৎকৃষ্ট প্রজনন স্থল । ফলে মশার কামড়ে নাগরিকদের বিভিন্ন অসুখ -বিসুখ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে । এর থেকে খুব দ্রুত পরিত্রাণ চায় পৌরবাসী । কেন্দুয়া পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক ওয়াহিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে মশা নিধনে কোন বরাদ্দ আসে নি । তাছাড়া আমাদের যথেষ্ট লজিস্টিক সাপোর্টও নেই । ফগার মেশিন রয়েছে একটি । তাও নষ্ট । লোকবলও নেই আমাদের । তিনি আরো বলেন, আগামী মাসিক সভায় বিষয়টি উত্তাপন করে স্থানীয় রাজস্ব থেকে কিছু করা যায় কিনা দেখবো । এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক ইমদাদুল হক তালুকদার মুঠোফোনে জানান, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি – সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা দানের । কিন্তু আমাদের অর্থ সংকুলান রয়েছে অনেক বেশি । এমনকি স্থানীয় রাজস্ব থেকে পৌর কর্মচারীদের বেতন দেয়াতেও হিমশিম খেতে হয় । তবে বর্ষার শুরুর দিকে এমন অভিযান পরিচালনার সম্ভাবনা রয়েছে । SHARES সারা বাংলা বিষয়: