রাউজানে যুবদল কর্মী মানিককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২৫ মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরী।। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীবউল্লাহ পাড়ায় আবদুল্লাহ মানিক (৪০) নামের এক যুবদল কর্মীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল সন্ত্রাসী। নিহত মানিক স্থানীয় মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে এবং দুই সন্তানের জনক।ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) মধ্যরাতে মানিকের বাড়ির অদূরে অবস্থিত ভান্ডারী কলোনির একটি বস্তি ঘরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে দশটার দিকে শহর থেকে ফিরে সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা করে মানিক এক অজ্ঞাত যুবকের সঙ্গে উক্ত ঘরে প্রবেশ করেন। সেখানে এক দিনমজুর পরিবারের সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিল এবং তিনি মাঝে মাঝেই সেখানে যেতেন। স্থানীয়রা জানান, রাত ১১টার দিকে হঠাৎ সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে ১৪–১৫ জনের একটি সশস্ত্র দল এসে ঘরে ঢুকে মানিককে ঝাপটে ধরে। পরে তার মুখে অস্ত্র ঢুকিয়ে গুলি করে, তারপর দুই পায়ে ও পেটের নিচে একাধিক গুলি চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় মানিকের সঙ্গে থাকা যুবক পালিয়ে গেছেন নাকি তাকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিক গত বছরের ৫ আগস্টের আগে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত ছিলেন। দেশে ফেরার পর তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। শুরুতে দলের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারের ঘনিষ্ঠ থাকলেও পরে তিনি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী দলে যোগ দেন। এতে তার রাজনৈতিক বিরোধ ও দ্বন্দ্ব তৈরি হয় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে। স্থানীয়দের মতে, মানিক এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন, যার ফলে তার সঙ্গে কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরোধও তৈরি হয়। নিহত মানিকের বড় ভাই খোকনকেও প্রায় এক দশক আগে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছিল। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, “ঘটনার পর মানিকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “নিহতের নামে পূর্বে কোনো মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” SHARES সারা বাংলা বিষয়: