কুষ্টিয়া মিরপুর থানা এরিয়ার মধ্যে এক সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:১১ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৫
আসাদুল ইসলাম।।
এখন মিরপুর থানা আমার আমি যা ইচ্ছে তাই করতে পারি বলেই থানা এরিয়ার মধ্যে সাংবাদিককে হেনস্তা
কুষ্টিয়া মিরপুর থানা এরিয়ার মধ্যে এক  সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগে, প্রধান অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন, তিনি মিরপুর উপজেলা ছাতিয়ান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত ৮ টার সময় মিরপুর থানা এরিয়ার মধ্যে সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম কে হেনস্তা করেন, জাসদ থেকে ভোল পালটিয়ে মিরপুর উপজেলা ওলামা দলের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন, তিনি মিরপুর থানায় একটি সালিশে আসেন বিবাদীর পক্ষ নিয়ে। ঔ সালিশ শেষে বাদীর সঙ্গে কথা বলছিলেন আসাদুল ইসলাম, হটাৎ রেগে শরীরে থাকা ট্রি সার্ট ধরে টানতে থাকে, আর বলতে থাকে তুই বাদিকে উসকানি দিচ্ছি।তোর বিচার হবে তুই থানার ওসির রুমে চল। থানায় দায়িত্ব রত পুলিশ ছুটে আসলে, জামাল উদ্দিন কে বলেন, আপনি থানা এরিয়ার মধ্যে এমন আচরণ করতে পারেন না। জামাল উদ্দিন বলেন মিরপুর থানা আমার, আমি যা ইচ্ছে তাই করবো, মিরপুর থানার সব নেতা আমার কথায় ওঠা বসা করে। পরে থানার ওসির রুমে বাকবিতন্ডা করেন তিনি। এক পর্যায়ে ওসির হস্তক্ষেপে  শান্ত হোন তিনি, ওসি বলেন, জামাল উদ্দিন কে বলেন, যেহেতু আপনি অপরাধ করেছেন, সাংবাদিক আসাদুল ইসলামের কাছে সরি বলেন, পরে আসাদুল ইসলাম থানার ওসির রুম থেকে বের হয়ে আসেন।
সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে যানা যায় তিনি বিবাদীর পক্ষে ৫০০০ টাকার বিনিময়ে সালিশে যান। এটা এখন তার একধরনের ব্যাবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিরপুর থানার তদন্ত ওসি আব্দুল আজিজ বলেন, জামাল উদ্দিন এক মাস ধরে থানার মধ্যে বেশি ঘুরাঘুরি করছেন।
সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন তার এলাকায় অট্রি গ্রাম ও ছাতিয়ানের অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষ,তার নিকট হইতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ আগষ্টের পর থেকে। তার এই সকল অপরাধের প্রতিবাদ জানায় সাধারণ জনগণ। ভয়ে এলাকায় যাননা তিনি  অনেক দিন ধরে,এমনটা অভিযোগ করেছেন  ভুক্তভোগী অসহায় এলাকার সাধারণ জনগণ।
মিরপুর উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাদের সাথে কথা বললে  নেতারা বলেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যদি কোন প্রকার  অপরাধ করে, তাহলে তাকে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
তার এ সকল অপরাধের বিচার দাবি করেন ছাতিয়ান ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।