চুনারুঘাটে এসিল্যান্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমিদস্যু চৌকিদার ইউনুছ জাহাঙ্গীর জসিম হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা ॥ কালেঙ্গায় চলছে টিলা কাটার মহোৎসব

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৫
সারোয়ার নেওয়াজ শামীম।।  
  চুনারুঘাটে এসিল্যান্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমিদস্যু চৌকিদার ইউনুছ, স্থানীয় যুবদলের কথিত জাহাঙ্গীর, জনৈক জসিম ও যুবলীগ নেতা হামিদ গংরা পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে রেমা-কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য পর্যটন এলাকা কালেঙ্গায় দেদারছে পাহাড়ি উঁচু টিলা কাটার মহোৎসব করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। পাহাড়ি উঁচু ঢিলা কেটে বালু ও মাটি ট্রাক্টরযোগে অবাদে অন্যত্র পাচার করা হচ্ছে এবং তা হাট-বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে ভিট ভরাট কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভায়ান্য কালেঙ্গায় পূর্ব হিমালিয়া গ্রামের প্রবাসী আফছর উদ্দিন এর টিলায় চলছে পাহাড়ি উঁচু টিলা কাটার মহোৎসব। এ যেন দেখার কেউ নেই। টিলার মালিক প্রবাসী আফছর উদ্দিনের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিরাশী ইউপির গ্রাম চৌকিদার ইউনুছ, স্থানীয় যুবদলের জাহাঙ্গীর ও কথিত সংবাদকর্মী জসিমের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসিল্যান্ডকে ম্যানেজ করে এসিল্যান্ডের অনুমতি নিয়ে তারা টিলা কেটে বালু ও মাটি ট্রাক্টর যোগে বাজার-হাটে ভিট ভরাট সহ বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২/১ জন ব্যক্তি ও  স্থানীয়  সূত্রে জানা যায়- এসিল্যান্ডের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধভাবে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে পাহাড়ি উঁচু টিলা কেটে বালু ও মাটি পাচারে জড়িত লালকেয়ার আদর্শ গ্রামের মৃত এবাদুর রহমানের পুত্র গ্রাম চৌকিদার ইউনুছ মিয়া, চামলতলী গ্রামের আঃ শহীদের পুত্র জাহাঙ্গীর মিয়া, আফছর উদ্দিনের পুত্র কবির মিয়া ও সংবাদকর্মী জসিম, কবির মিয়া গং। আফছর উদ্দিনের টিলা কাটার বিষয়ে তারা বলেন- এই টিলাকাটার বিষয়ে থানা পুলিশ সহ ২/৩ দিন তদন্ত হয়েছে। আমরা এসিল্যান্ড থেকে টিলা কাটার অনুমতি এনেছি তাই টিলা কাটা হচ্ছে। জাহাঙ্গীর ও চৌকিদার ইউনুছ বলেন- শুধু এই টিলা না চামলতলী বাজারের পশ্চিমের টিলা মৃত আঃ জব্বারের পুত্র যুবলীগ নেতা আঃ হামিদের টিলাসহ এলাকায় আরো কয়েকটি টিলা কেটে মাটি ও বালু ট্রাক্টরযোগে অবাদে পাচার হচ্ছে। কথিত জসিম, জাহাঙ্গীর ও চৌকিদার ইউনুছ গংদের বিরুদ্ধে করাঙ্গী নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন, বনের গাছ পাচার, পাহাড় ও টিলাকেটে বাড়ি ঘরে ও বাজার-হাটে ভিট ভরাট, বিভিন্ন স্থানে টিলা কেটে মাটি পাচার সহ তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানান অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ- তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর নেমে আসে অত্যাচার-নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি। টিলা কেটে মাটি পাচার করায় ঝুঁকিতে রয়েছে টিলায় বসবাসরত বাসিন্দাদের ঘর-বাড়ি। যে কোন সময় টিলা ধ্বসে জানমালের ক্ষতির আশংকা রয়েছে। এমনকি ঐ এলাকার চলাচলের রাস্তায় বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। পাহাড়ি উঁচু টিলা কেটে বালু ও মাটি পাচার প্রতিরোধে ও পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানান স্থানীয় ও সচেতন মহল। রেমা-কালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে কালেঙ্গা রেঞ্জ থাকলেও বন বিভাগ রহস্যজনক কারণে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন- টিলা কাটার বিষয়ে আমার জানা নেই। যদি বন এলাকার ভিতরে এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে আমি ব্যবস্থা নিব। চুনারুঘাট সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব জানান, আমি কাউকে টিলা কাটার অনুমতি দেইনি। এমন কর্মকান্ডে কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।