বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মধ্যে আসে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:১৫ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৫
কোহিনূর আলম।।
কথা বলছিলাম নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে নাম এক গ্রাহকের সাথে । তিনি আক্ষেপ করে বলেন, শীত গরম প্রায় সব ঋতুতেই আমরা কেন্দুয়াবাসী বিশেষ করে ইউনিয়ন পর্যায়ের লোকজন বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং অতিষ্ট ! এখানে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মধ্যে আসে! ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১ থেকে ২ঘন্টা বিদ্যুৎ পাই আমরা । এটা শুধু আমার কথা নয় । প্রতিটি ইউনিয়নের এমন কী কেন্দুয়া পৌরসভার মানুষের সাথে কথা হলে একই কথা বলবে আপনাকে । অথচ মাস শেষে অনেকেরই বিল আসে প্রায় দ্বিগুণ । যা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় ।
এছাড়া সোস্যাল মিডিয়ায় ঘাটাঘাটি করলেই পাওয়া যায় বিদ্যুৎ নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট । যেমন – আসিফ আহমেদ লেখেন, বিদ্যুৎ নিয়ে কিছু বলবেন ? মোজাফপুরে আছরের আগে গিয়েছিলো । আপনার এলাকার কী খবর? মোঃ হুমায়ুন কবির লেখেন, বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে উপজেলার হাজার হজার মানুষ । দিনে রাতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই ঘন্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকে না -গ্রামে । মোঃ আল মামুন পোস্ট করেন, পাইকুড়া ইউনিয়ন গেমই গ্রামে  ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুই ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাই নি । এটা দেখার কি কেউ নেই?
এ পরিস্থিতিতে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা ও আজগুবি বিদ্যুৎ বিল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন আবাসিক ও বানিজ্যিক সব রকমের গ্রাহকেরা ।
অন্যদিকে সচেতন মহল ও গ্রাহকেরা মিটার রিডাররা মিটার দেখে কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে যাবেন এবং গ্রাহকরা মিটার রিডারের রিডিং সহ স্বাক্ষর রাখবেন এমন দাবিও রাখেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে । এতে অস্বাভাবিক বিল আসার কোন সম্ভবনা থাকবে না এবং গ্রাহকদের বিল বেশি নিয়ে কোন অভিযোগও থাকবে না ।
এ বিষয়ে নেত্রকেণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কেন্দুয়া জেনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মোঃ ওমর ফারুক বলেন , প্রায় ৯১ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের জন্যে উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ২১ মেগাওয়াট । কিন্তু চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১১ মেগাওয়াট । ফলে চাহিদার চেয়েও সরবরাহ খুব কম পাচ্ছি । ফলে ঘাটতি পূরণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে । তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি উন্নতিতে বন্ধ পাওয়ার জেনারেশন চালু করা জরুরি । এতে লোড শেডিং কমবে । তবে এ বিষয়টি  উৎপাদন সংশ্লিষ্টদের সাথে জড়িত ।