ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে শিবির: জয়পুরহাটে তথ্যসেবা, খাবার স্যালাইন, পানির বোতল ও ফ্রি বাইক সার্ভিস

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৫

মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার ।।

ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এক মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখা। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এবং প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিতে সংগঠনটি বিনামূল্যে তথ্যসেবা, খাবার স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানির বোতল ও ফ্রি বাইক সার্ভিস চালু করেছে।

শনিবার, ৩১ মে, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ গেটসংলগ্ন ‘শহীদ আবু সাইদ সেবা বুথ’ থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সকাল থেকেই শিবিরের সেবাকর্মীরা বুথে অবস্থান নিয়ে আগত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের বিভিন্ন সেবা দিতে থাকেন। গরম আবহাওয়ার মধ্যে শিক্ষার্থীদের শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে খাবার স্যালাইন ও ঠাণ্ডা পানি সরবরাহ করা হয়। একই সঙ্গে যারা পরীক্ষাকেন্দ্র খুঁজে পাচ্ছিল না বা ভুল কেন্দ্রে চলে গিয়েছিল, তাদের সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে ফ্রি বাইক সার্ভিসও চালু রাখা হয়।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির, জয়পুরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারি তারেক হোসেন জানান,
“আল্লাহর সন্তুষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা রাসূল (সা.) এর প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে একটি নৈতিক, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়তে চাই। এই সেবামূলক কার্যক্রম সেই লক্ষ্য অর্জনের একটি পদক্ষেপ।”

জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি পিয়ারুল ইসলাম বলেন,
“শুধু তথ্যসেবা নয়, পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ও ব্যাগ রাখার সুবিধাও আমরা রেখেছি। কেউ যদি ভুল কেন্দ্রে চলে যান, তাদের নির্ধারিত কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের মানবিক সেবা অব্যাহত থাকবে।”

এই উদ্যোগ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। তারা জানান, অচেনা শহরে এসে এমন সহায়তা পেয়ে তারা ভীষণভাবে উপকৃত হয়েছেন এবং ছাত্র শিবিরের এই সহানুভূতিশীল ও মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের মতে, ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে এমন কার্যক্রম সচরাচর দেখা যায় না, যা সমাজে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, অন্যান্য সংগঠনও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে এমন মানবিক কাজের দিকে মনোযোগ দেবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির জয়পুরহাটে  দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শিক্ষা, সমাজসেবা ও মানবিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, যা শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করছে।