কোষা নৌকার জম দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২৫ রিপন সরকার ।। বর্ষা মানেই বৃষ্টি, খাল-বিল-নদীতে টলমলে পানি আর গ্রামবাংলার এক চিরচেনা দৃশ্য কাঠের ডিঙি নৌকা। প্রতি হাটে বিক্রি হচ্ছে লাখ লাখ টাকার নৌকা। এই ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমটি তিতাস নদী বেষ্টিত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও হাট-বাজারে এখন চলছে সেই ডিঙ্গি নৌকা কেনা বেচার মৌসুমি ব্যস্ততা। চারপাশ নদীবেষ্টিত হাওর এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাওলাগঞ্জ বাজারে ডিঙি নৌকা বিক্রির ধুম পড়েছে। বর্ষাকাল শুরুর পর থেকে প্রতি রবিবার নৌকা বিকিকিনি বেশ জমজমাট।প্রতি হাটে শতাধিক নৌকা বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। আজকাল নদীতে পাল তোলা নৌকা চোখে কম পড়লেও কোষা নৌকা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছে। নৌকা হাটের জন্য এই অঞ্চলে মাওলাগঞ্জ বা বড়বাজার নৌকার হাট বেশ প্রসিদ্ধ। গত বছরের তুলনায় কাঠের দাম বেশি হওয়ায় এবার নৌকার মূল্য একটু বেশি হলেও নৌকা বিক্রিতে সমস্যা হচ্ছে না বলে বিক্রেতা আলী হোসেন জানান। এখানে বিভিন্ন আকারের মিলছে কাঠের নৌকা। নৌকার দামের ক্ষেত্রেও রয়েছে বৈচিত্র্য। ছোট আকারের নৌকা ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আর বড় আকারের, শক্ত কাঠের তৈরি ও রঙিন নৌকার দাম পড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, বাজারে অনেকেই এখন টিনের বা ফাইবারের নৌকা ব্যবহার করছেন ঠিকই, কিন্তু ভারসাম্য ও টেকসই ব্যবহারের জন্য আজও কাঠের নৌকার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বাহেরচর থেকে আগত ক্রেতা জামাল মিয়া বলেন, “প্রতিবছর পাল্লা দিয়ে নৌকার দাম বাড়ছে।এ বছর প্রতি নৌকায় হাজার টাকা বেড়ে গেছে।” বাঞ্ছারামপুরসহ পার্শ্ববর্তী আড়াইহাজার,হোমনা, মেঘনা, দাউদকান্দি, তিতাস,মুরাদনগর ও নবীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই কোষা নৌকা।মৎস্যচাষীরাসহ কৃষকরা গবাদিপশুর জন্য ঘাস কাটা, পরিবহনের প্রধান বাহক ছাড়াও দৈনন্দিন নানা রকম কাজকর্মে এই ডিঙি ( কোষা) নৌকার ব্যবহার করে থাকে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: