গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সংবাদ সম্মেলন দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৫ শেখ ফরিদ আহমেদ।। বুধবার (৩০ এপ্রিল), গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে গণ অধিকার পরিষদ জেলার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুব অধিকার পরিষদ গোপালগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মোল্লা, ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মুনায়েম, ঢাকা উত্তরের দপ্তর সম্পাদক কাজী রনি, ছাত্র অধিকার পরিষদ গোপালগঞ্জ শাখার সভাপতি ওবায়েদ তারিফ, কোটালীপাড়া শাখার সদস্য সচিব সোহেল হাজরা এবং টুঙ্গিপাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মহাসিন শেখ। বক্তারা ১৬ জুলাই এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের তীব্র নিন্দা জানান এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেন। তারা বলেন, “২০১৮ সালের প্রশাসনিক আইনে গুলির অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও যে গুলি ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।” নেতারা অভিযোগ করেন, নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে, যা গোপালগঞ্জের ১২ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা। বক্তারা বলেন, “গোপালগঞ্জ কোনো একক দলের জনপদ নয়, এখানে সব রাজনৈতিক দলের সমর্থক জনগণ বাস করে। অতএব, গণগ্রেফতার ও অজ্ঞাত আসামি বানানোর অপচেষ্টা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।” গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে লিখিত দাবি জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। তারা হুঁশিয়ার করে বলেন, “যদি অব্যাহত হয়রানি ও অন্যায় গ্রেফতার বন্ধ না করা হয়, তাহলে সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে এবং তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।” সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে কোটালীপাড়ার এক ভুক্তভোগী নারী ইয়াসমিন বলেন, “আমার স্বামী মেহেদী হাসান একজন রাজমিস্ত্রি। তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। অথচ তাকে যৌথবাহিনী গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। এখন আমি এক শিশু সন্তান নিয়ে চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি।” সরকারের প্রতি তিনি স্বামীর নিঃশর্ত মুক্তির আবেদন জানান। সংবাদ সম্মেলনের শেষাংশে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি জেলার এই সংকটকালে সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকার আহ্বান জানানো হয়। SHARES সারা বাংলা বিষয়: