কেন্দুয়ায় সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম : হত্যার উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ হামলার অভিযোগ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২৫ কোহিনূর আলম ।। নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে সংঘবদ্ধ সহিংস হামলায় গুরতর আহত হয়েছে স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী । আহত শিক্ষার্থীর নাম আরমান (১৫) । সে কেন্দুয়া সায়মা শাহজাহান একাডেমির ৭ম শ্রেণির ছাত্র এবং বর্তমানে সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । গত শুক্রবার (০১ আগস্ট) বিকেল আনুমানিক ৫টায় উপজেলাট মাসকা ইউনিয়নের পাঁচপীর কান্দাপাড়া ঈদগাহ ফুটবল মাঠের উত্তর পাশে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে । ঘটনার দুইদিন পর (৩ আগস্ট) আরমানের বাবা আঃ হক বাদী হয়ে ১। আনোয়ার হোসেন (২০), পিতা) আবুল মিয়া ২। আবুল মিয়া (৪৫) ৩। রুমান মিয়া (৩২) ৪। খোকা মিয়া (৩০), সর্বপিতা রইছ উদ্দিন ৫। রইছ উদ্দিন (৬৫), পিতা মৃত কবুর উদ্দিন ৬। রবিন মিয়া (২৮), পিতা রইছ উদ্দিন, সর্বসাং -পাঁচপীর কান্দাপাড়া, ইউপি-মাসকা, থানা- কেন্দুয়া, জেলা -নেত্রকোণার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে একটি খুনের মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন আরমানের বাবা আব্দুল হক। সেই মামলাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের সঙ্গে বাদীর পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল । ঘটনার দিন বিকেলে আব্দুল হক, তার দুই ছেলে আরমান ও কবীর ফুটবল খেলা দেখতে যান। খেলায় কবীর অংশ নিলেও আরমান দর্শক সারিতে বসে খেলা দেখছিল। এমন সময় সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাঠে হাজির হয়ে তারা প্রথমে আব্দুল হককে ঘেরাও করে হামলার চেষ্টা করে । তিনি দৌঁড়ে পালিয়ে বাড়িতে আশ্রয় নেন । পরে তার দুই ছেলেকে লক্ষ্য করে মাঠে ঢুকে পড়ে হামলাকারীরা । অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, রইছ উদ্দিন নামীয় ব্যক্তি “হক্যার পোলারে খুন কর” বলে হুকুম দিলে সঙ্গীয় অন্যরা আরমানের উপর চড়াও হয় । পরে স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় আরমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় । তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন । ইতোমধ্যে তার শরীরে দুই ব্যাগ রক্তও দেওয়া হয়েছে । গত সোমবার (৪ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে কথা স্থানীয় লোকজন ও উভয় পক্ষের সাথে । বাদীপক্ষের সাথে কথা হলে তারা জানান, এর আগে হত্যাকান্ডের পরপরই আঃ হকের ঘর, মাসুদের ঘর, দারোগা আলীর ঘর, রিকশা চালক লিটন মিয়ার ঘর, আলমের ঘর ও ফারুকের ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন । তারা আরো বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরেই হত্যার উদ্দেশ্যে আরমানের উপর সংঘবদ্ধভবে সহিংস হামলা চালায় উল্লেখিত বিবাদীরা । প্রতিপক্ষ রহিছ উদ্দিন (৬৫) ও তাঁর স্ত্রী কুলসুম বেগম (৫৬) বলেন, ৮/১০ মাস আগে আমাদের ছেলে হারন (২৭) কে আঃ হকেরা নির্মমভাবে খুন করে । এখনো তারা আমাদেরকে হুমকি দমকি দিয়ে আসছে । অন্যদিকে আরমানকে হামলার বিষয়ে তারা বলেন, শুনেছি কে বা কারা আরমানের উপর হামলা চালিয়েছে । জানি না । তাছাড়া আরমান ছিলো হারন হত্যার অন্যতম আসামি । স্থানীয়দের ধারণা এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় আরো খুন-খারাবি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এমন নৃশংস হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তারা । এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর বলেন, লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে । তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । SHARES সারা বাংলা বিষয়: