লক্ষীপুরে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ধরা হচ্ছে নদীর মাছ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২৪ মো:শরীফ হোসেন।ইলিশ আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ।এর রক্ষনাবেক্ষন,সংরক্ষণ, আবাসন,প্রজনন ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক নজরদারির ফলে এর সুবিধা যেমন অর্জন সহজ, তেমনি সঠিক নজরদারির অভাবে এই সম্পদের অপচয় হওয়া খুবই সম্ভব। যেখানে দেশের বিদ্যমান আমিষের চাহিদার অধিকাংশই পূরন হয়ে থাকে মাছ তথা সামুদ্রিক মাছের মাধ্যমে। প্রজনন মৌসুমে ইলিশের অভয়ারণ্যে যেন কোন বাধা না আসে সে জন্য সরকার বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে থাকে।বিকল্প হিসেবে সরকার ঐ সকল জেলেদের ঐ সময়ে খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে,যাতে জেলেরা জীবিকা নিয়ে কষ্ট করতে না হয়।কিন্তু সবাই কি আর দেশের মঙ্গল কামনা করে? লক্ষীপুর জেলার বুক জুড়ে মেঘনার স্রোতস্বীনি মোহনা ইলিশের অভয়ারণ্যে হিসেবে স্বীকৃত।গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারী এক প্রজ্ঞাপনে ১ লা মার্চ হতে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার হতে চাঁদপুর জেলার সাঁওতাল এলাকা পর্যন্ত এই ১০০ কিলোমিটার নদীতে সকল সামুদ্রিক মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এই সময়ে মেঘনায় সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকার কথা। তবে বাস্তবতা বলে ভিন্ন কিছু।সরেজমিনে চর আলেকজান্ডার, রায়পুরের খাসেরহাট সহ আরো কয়েক জায়গায় প্রকাশ্যে ইলিশ মাছ (জাটকা) সহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ বিক্রয় করতে দেখা গেছে। তুলনামূলক দাম কম থাকায় ক্রেতারাও কিনে নিচ্ছেন হাসিমুখে।তারা কি আদৌ অনুধাবন করতে পারছেন, তারা দেশ তথা জনগনের কতটা ক্ষতি করছেন? জিজ্ঞাসা করলে ক্রেতা জানায়,খেতে সুস্বাদু এবং দাম কম পাওয়ার কারনে এগুলো কিনেছি। আর মাছ বিক্রেতা জানান,চাহিদা আছে তাই বিক্রি করি।তাছাড়া পেটের দায় তো আছেই। যথাযথ নজরদারির অভাবে সরকারি আদেশের যেমন অমান্য হচ্ছে,তেমনি আমরা মৌসুমের আগেই ছোট ইলিশ কে মেরে বড় ইলিশ পাওয়ার পথকে নষ্ট করে ফেলছি।এ ব্যাপারে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের একাগ্রতা প্রয়োজন। SHARES সারা বাংলা বিষয়: