সাবেক ইউএনও-র কলমে দ্বীপের সৌন্দর্য ও সম্ভাবনার আলেখ্য দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২৫ মো: হোসেন।। বাংলাদেশের নদীমাতৃক geographies মধ্যে এক অনন্য নাম ভোলা, দেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা। আর সেই জেলারই বিচ্ছিন্ন এক ভূখণ্ড, মেঘনা নদী আর বঙ্গোপসাগরের কোলে লালিত অপার সম্ভাবনাময় এক দ্বীপের নাম মনপুরা। অনেকেই জনপ্রিয় ‘মনপুরা’ সিনেমার সাথে এই দ্বীপকে মিলিয়ে ফেললেও, এখানকার রুদ্র মেঘনার বুকে ডিঙি নৌকা ভাসানোর দৃশ্য আর সিনেমার শান্ত নদী এক নয়। মনপুরার সৌন্দর্য, সম্ভাবনা আর মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে লিখেছেন সেখানকার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব মোহাম্মদ শামীম মিয়া। দেড় বছর কর্মস্থলে থাকাকালীন তার অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ থেকে উঠে এসেছে এই দ্বীপের এক পূর্ণাঙ্গ চিত্র। দ্বীপের নিজস্ব পরিচয় ও সৌন্দর্য জনাব,মোহাম্মদ শামীম মিঞা, তার লেখায় উল্লেখ করেন, মনপুরার মানুষের একটি ইউনিক বৈশিষ্ট্য হলো, তারা বরিশাল বা ভোলার পরিচয় না দিয়ে সরাসরি ‘মনপুরার বাসিন্দা’ বলতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। মূল মনপুরাকে ঘিরে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ, যা সব মিলিয়ে পর্যটকদের জন্য এক ‘কমপ্লিট প্যাকেজ’। তিনি বলেন, “সবকিছু ছাপিয়ে যাবে এই দ্বীপের সৌন্দর্য। তিন পাশে মেঘনা আর এক পাশে বঙ্গোপসাগরের মাঝে এর জীবনযাত্রা সীমাবদ্ধ।” পর্যটকদের জন্য মনপুরা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য মনপুরা একটি অবশ্য গন্তব্য (মাস্ট ভিজিট প্লেস) বলে মনে করেন সাবেক এই ইউএনও। তার কর্মকালীন সময়ে তিনি যেমন সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়েছেন, তেমনি ঢাকা থেকে লঞ্চে করে ৪২টি সাইকেল নিয়ে আসা উদ্যমী তরুণদের দলেরও দেখা পেয়েছেন। তবে তিনি বিলাসবহুল পর্যটকদের জন্য একটি সতর্কবার্তাও দিয়েছেন। তার ভাষায়, “দামী হোটেল মোটেলে সুইমিং পুলে ঝাপাঝাপি করা মানুষ হলে নিরুৎসাহিত করছি, প্লিজ যাবেন না।” প্রকৃতিপ্রেমী এবং সত্যিকারের অ্যাডভেঞ্চার যাদের পছন্দ, মনপুরা তাদের হতাশ করবে না। একসময় দ্বীপে হরহামেশা হরিণের দেখা মিললেও, এখন গহীন বনে গেলে তাদের দেখা মিলতে পারে। সোনার চরের নৈসর্গিক রূপ লেখার সাথে সংযুক্ত ছবি প্রসঙ্গে, জনাব মোহাম্মদ শামীম মিঞা, জানান, ছবিগুলো ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তোলা মনপুরার পশ্চিমে অবস্থিত সোনার চরের। তিনি বলেন, “বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ, নদী আর কেওড়া বন মিলে যেন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই চরগুলোতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মালিকানায় অসংখ্য মহিষের বাথান রয়েছে এবং চারণভূমির বাইরেও বহু পতিত জমি তাদের দখলে থাকে। তাই তিনি মাঝে মাঝে ভূমিহীন ও অসহায় মানুষদের নিয়ে এসব চরে যেতেন, যা তার দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক কাজের এক অনন্য উদাহরণ। শেষ কথায় তিনি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন— “মনপুরায় গেলে দ্বীপগুলো (চর) ঘুরে আসতে পারলে ভ্রমণের ষোলকলা পূর্ণ হবে, নচেৎ অতৃপ্তি থেকে যাবে।” SHARES সারা বাংলা বিষয়: