কারেন্ট পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক, পোকা দমনে এক দিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২৫
মোঃ নুরুন্নবী মিয়া ।।
চলতি আমন মৌসুমে কাচ থোড় পর্যায়ে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে বাদামি ঘাস ফড়িং বা কারেন্ট পোকার উপদ্রব।জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ হলে এক বিঘা জমির ফসল নষ্ট করতে কয়েকঘন্টা সময় লাগে মাত্র।কাচথোড় পর্যায়ে আক্রান্ত হলে সঠিক সময়ে কীটনাশক প্রয়োগ না করলে সম্পূর্ণ জমির ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.ন.ম শিবলী সাদিক। আমন মৌসুমে বর্ষার পানি একমাত্র ভরসা।কিন্তু বর্ষাকালে কম পরিমানে বৃষ্টি হওয়ায়, দীর্ঘ দিন খড়ার পর মাঝে মাঝে অল্প মাত্রায় বৃষ্টির ফলে আমন ধান চাষে কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। একদিকে অতিরিক্ত সেচ আবার দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়া বিভিন্ন কীটপতঙ্গের আক্রমণে অতিরিক্ত বালাই নাশক ব্যাবহার করতে হচ্ছে ফলে ফসলের ব্যায় বেড়ে যাচ্ছে। নতুন করে বাদামি ঘাস ফড়িং এর আক্রমণে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়ছে।এ অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য   এবং কারেন্ট পোকা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের পাশে নিয়মিত কৃষি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিস  ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সানি ইসলামের সঞ্চালনায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ব্লকে আজ বাদামী ঘাস ফড়িং বা কারেন্ট পোকা দমনে করণীয় বিষয়ক ১ দিনের এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ও প্রধান পরামর্শ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.ন.ম শিবলী সাদিক।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ১ নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ জব্বার মিয়া, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জামিউল চৌধুরী,মোঃ আঃ খালেক, সহকারী শিক্ষক, জামাল হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কৃষক মতলুবর রহমান,আঃ রাজ্জাক,মোঃ মিলন মিয়া প্রমুখ।