প্রতিদিনের খবর নামের নিউজ পোটাল প্রকাশিত গাছ কাটার সংবাদের প্রতিবাদ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬:২১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৫

আসাদুল ইসলাম ।।

আজ ১ নভেম্বর একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিদিনের খবরে ‘ভুয়া, মিথ্যা,ভিত্তিহীন, গাছ কাটার শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন, সুমন মন্ডল
এক প্রতিবাদে তিনি বলেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি বা আমার কোন সহযোগী,এই গাছ কাটার সাথে জড়িত নয়। আমি এই নিউজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার জানাচ্ছি। কে বা কাহারা রাতের আঁধারে জিকে ক্যানেলের কিছু গাছ কেটে  রেখে চলে যায়, এই গাছ কাটার বিষয়, তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। গাছ কাটার ওপর ভিত্তি করে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া অভিযোগ করেছে আমার বিরুদ্ধে , যা তাদের পূর্ব পরিকল্পিত।
ভিডিওতে অভিযোগ কারী সাঈদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি বলেন আমি ভ্যান চালাচ্ছিলাম এমন সময়, কচুবাড়িয়া গ্রামের আহসান মালিথা ও সুজন মালিথা আমাকে ফোনে সংবাদ দেন, আমি ও খোকন ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায়,বেশ কিছু গাছ কাটা পড়ে আছে, সাথে একটি গাছ কাটার করাতও পড়ে আছে, এ বিষয় সাংবাদিক প্রশ্ন করায় আমি সুমনের নাম, ও তার মামার নাম ভুল করে বলেছি, ঘটনার সময় উপস্থিত কাউকে দেখতে পায়নি।
আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে যে রহমত আলী রব্বানের ভাগিনা সুমন মন্ডল গাছ কেটেছেন, আমি সুমনের পিতার নাম না জানায় তার মামার নাম ভুলে বলেছি। সাংবাদিক সাইদুল কে ফোন দিয়েছেন এই বিষয় জানতে চাইলে সাঈদ বলেন এ বিষয় কে ফোন দিয়েছেন আমি জানি না।
 এ বিষয় কচুবাড়িয়া গ্রামের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরীর পথসভা থাকায়,পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এমন কাজ করেছেন, একটি গোষ্ঠী, প্রকৃত পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে, জিকে ক্যানেলে এই গাছ রাতের আঁধারে কেটে আসছন কচুবাড়িয়া গ্রামের আহসান মালিথা ও সুজন মালিথা যা কচুবাড়িয়া গ্রামের অনেকেই অবগত আছেন এ বিষয়।
এ বিষয় যুবদল নেতা ইমারুলের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি বলেন আমার নিকট  অনেক বার গাছ কাটার অনুমতি চেয়েছেন সুজন মালিথা,কিন্তু আমি তাকে গাছ কাটার অনুমতি না দেওয়ায়, সুজন মালিথা ও আসান মালিথা আমার সাথে আর যোগাযোগ রাখেন না। তারা এখন কচুবাড়িয়া গ্রামের মানিক ঠাকুর ও শরিফের সাথে থাকেন, ইমারুল বলেন আমি তাদের বলেছি আমি কোন অনন্যায় কাজ কে সমর্থন করিনা, আর করবো না কোন দিন।
 কচুবাড়িয়ার মন্টু মিয়া বলেন, এমন কিছু হতে পারে,ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরীর অনুষ্ঠানকে বানচাল করার উদ্দেশ্য এমন পরিকল্পিত ঘটনা ঘটাতে পারে, কিছু দিন পূর্বে ব্যারিস্টার রাকিব রউফ চৌধুরীর পক্ষে ৩১ দফা বাস্তবায়নে পথসভায় তারা বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করেছিল। অথবা নিমতলা এরিয়ার গাছ গুলো দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করে গাছ কাটতে না পারায়। গাছ কাটার উদ্দেশ্য সুমনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন তারা। আমরা যতটুকু জানি ঘটনা স্থলে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা সবাই শরিফের ও মানিক ঠাকুরের লোক, তাদের সম্পর্কে  কচুবাড়িয়া গ্রামের অনেকেই জানেন।
তাছাড়া প্রকাশিত নিউজের মধ্যে যে ভিডিও   প্রকাশ করা হয়েছে তাতে শেষ অংশে একজন কৃষকে বলতে শোনা যায়, আমি এসে কাউকে এখানে দেখি নাই কে বা কাহারা গাছ গুলো কাটতে ছিল আমি কাউকে দেখি নাই।
সুমন মন্ডল বলেন, একটি পক্ষ নিজেরাই এমন ভুয়া অভিযোগ তৈরি করে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছে। আমি এতে সামাজিক, মানষিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনলাইন নিউজ প্রতিদিনের খবরের সাংবাদিকের বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করা উচিত ছিলো বলে আমি মনে করছি।
প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কে বা কারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। অসত্য মিথ্যা ঘটনা সমর্থন করতে পারি না বিদায় উল্লেখিত প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।