উলিপুরে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, দিনভর অপেক্ষা করে ফিরে গেলেন পরীক্ষার্থীরা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২৫ মোঃ রেজাউল ইসলাম ।। কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় দিনভর অপেক্ষার পর পরীক্ষার্থীদের ফিরে যেতে হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার (১ নভেম্বর) উপজেলার তবকপুর আবুবকর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকলেও নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা কেউ উপস্থিত হননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিকেলে হতাশ হয়ে ফিরে যান তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদ্রাসাটিতে ইবতেদায়ি প্রধান, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, গবেষণাগার সহকারী ও আয়া—এই চারটি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ৫৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন এবং শনিবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা নেওয়ার সময়সূচি জানানো হয়। কিন্তু পরীক্ষার দিন সকালে দেখা যায়, মাদ্রাসার সব কক্ষ তালাবদ্ধ। এ সময় উপস্থিত পরীক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আয়া পদে পরীক্ষার্থী ছকিনা বেগম বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে অ্যাডমিট কার্ড হাতে পাই। শনিবার সকালে পরীক্ষা দিতে এসে দেখি মাদ্রাসা বন্ধ। কেউ কিছু জানায়নি। এত দূর থেকে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। অফিস সহকারী পদে পরীক্ষার্থী রমজানুল ইসলাম বলেন, “আমরা সকাল থেকে অপেক্ষা করছি। কেউ কোনো খবর দেয়নি। এটা নিয়োগ প্রহসন ছাড়া কিছু নয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফকরুল ইসলাম নিয়োগের নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ায় তিনি পরীক্ষা স্থগিত করে দেন। অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ ফকরুল ইসলাম বলেন, “নিরাপত্তাজনিত কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।” তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাদ্রাসার নোটিশ বোর্ডে কোনো স্থগিত নোটিশ টানানো হয়নি। মাদ্রাসার সভাপতি মাওলানা মেনহাজুল ইসলাম বলেন, “অধ্যক্ষ সাহেব হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক ও নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধি সামিউল ইসলাম প্রমাণিক বলেন, “অধ্যক্ষ সাহেব অসুস্থতার কথা জানিয়ে পরীক্ষা স্থগিতের অনুরোধ করেন। তাই আমি যাইনি। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন। SHARES সারা বাংলা বিষয়: