দালালমুক্ত ও স্বচ্ছতার মডেল: লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবার মানোন্নয়ন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬:৩৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২৫
মেহেদী হাসান রাসেল, বিশেষ প্রতিনিধি |
সহকারী পরিচালক এ কে এম আবু সাঈদের নেতৃত্বে লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দালালমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সেবা প্রতিষ্ঠানে রূপ নিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দালালচক্রের প্রভাব ও অনিয়মে ভোগান্তিতে থাকা সেবাগ্রহীতারা এখন পাচ্ছেন দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও আধুনিক সেবা।
অফিস সূত্র জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ দালাল নির্মূল ও সেবা সহজীকরণে বিশেষ উদ্যোগ নেন। প্রতিটি প্রবেশদ্বারে কঠোর নজরদারি, সিসিটিভি মনিটরিং জোরদার, উপস্থিতি ও আচরণবিধি নিশ্চিতকরণ, এবং কাউন্টারভিত্তিক সেবা চালুর ফলে অনিয়মের সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
অনেক সেবাগ্রহীতার মতে, আগে ফরম পূরণ থেকে শুরু করে জমা দেওয়া ও এনরোলমেন্ট—প্রতিটি ধাপে দালালদের চাপ ও অতিরিক্ত অর্থ দিতে হত। এখন নির্ধারিত সরকারি ফি দিয়ে নির্বিঘ্নে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাচ্ছে। অফিসের কর্মীদের সহযোগিতা পাওয়ায় বাহিরের কারো সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না।
সহকারী পরিচালক এ কে এম আবু সাঈদ বলেন,
“স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দালালমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। নাগরিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় সেবা পান—এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব মেহেদী হাসান রাসেল বলেন, “আগের তুলনায় এখন সেবার মান অনেক উন্নত। সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। সেবাগ্রহীতারা যে কোনো সমস্যা নিয়ে তার সাথে আলোচনা করতে পারছেন এবং তিনি নিয়মের মধ্যে থেকেই সমাধানের চেষ্টা করছেন।”
তিনি আরও জানান, দালালচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে কিছু মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে।
স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষের অভিমত, লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এই রূপান্তর দেশের অন্যান্য সরকারি দপ্তরের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে। তারা আশা করছেন, এই স্বচ্ছতা ও সেবার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে জনসেবায় আরও বড় পরিবর্তন আসবে।