ডাঃ অরূপ কুমার সরকার ও রাসেল ভাইপার

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:২১ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২৪

কোহিনূর আলম।সারা দেশে রাসেল ভাইপার সম্পর্কে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে । ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাসেল ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর অ্যান্টিভেনম মজুতের কথাও তাগিদ দেন তিনি ।

বুধবার (২৬জুনু) দুপুরে এ বিষয়ে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অরূপ কুমার সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, রাসেল ভাইপার খুব দ্রুত ছোবল বা কামড় দিতে পারে । এটি ঝোপঝাড়, বালি ও কৃষকের জমিতে পাওয়া যাচ্ছে বেশি । সাপে কামড় দিলে প্রাথমিকভাবে আমরা রোগীকে অবজারভেশনের মাধ্যমে বলতে পারি আসলে তাকে বিষাক্ত সাপে কামড় দিয়েছে নাকি অন্য কোন সাপে । বিষাক্ত সাপে কামড় দিলে ক্যানাল দাঁতের স্পষ্ট দুটি দাগ থাকে ।

তাছাড়া শরীরে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয় । ডাঃ অরূপ কুমার সরকার বলেন, কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের বিশেষ করে রাসেল ভাইপারের কামড়ের প্রতি বছরের হিসেব এ মূহুর্তে নেই । তবে গত মাস ও চলতি মাস পর্যন্ত কোন রোগী আসে নি । আমাদের কাছে বিশ ভায়ার বা দুজন রোগীকে দেয়ার মতো অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন রয়েছে । তা কোন স্পেসিফিক সাপের জন্যে নয় । যে কোন বিষাক্ত সাপে কামড়ালে তা প্রয়োগ করা যাবে । টিএইচও স্যার ট্রেনিংয়ে আছেন । স্যারের সাথে কথা বলে খুব দ্রুত চাহিদা দেয়া হবে । তাছাড়া তিনি আরো বলেন, বাস্তবে চোখের সামনে কোন সাপই ছিলো না অথচ দেখতে পাওয়া – এটা হচ্ছে অ্যাংজাইটি বা ইলিউশান ।

এর থেকে উত্তরণের উপায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা । সাপে বা রাসেল ভাইপার কামড় দিলে খুব দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে হবে । কোন অবস্থাতেই কোন জারপোক বা ওঝার কাছে নেয়া যাবে না । জরুরি নাম্বারে যোগাযোগ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক সময় ছিলো বর্তমানে নেই । সেটি ছিলো গ্রামীণফোনের একটি পোস্ট পেইড নাম্বার । গত নভেম্বরে এ বিষয়ে আমরা পরিচালক এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী বরাবর চিঠি দিই । কিন্তু এখনো পর্যন্ত নাম্বারটি চালু করা যায় নি ।