চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার পলাতক ০৩ জন আসামি’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৪ মামুন মোল্লা।“বাংলাদেশ আমার অহংকার”এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ০৩ জন আসামি’কে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।ভুক্তভোগী ভিকটিম (১৮) কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার বাসিন্দা। সে গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ইং তারিখে তার বড় ভাইয়ের চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী এলাকার বাসায় বেড়ানোর উদ্দেশ্যে পেকুয়া থেকে বাসযোগে মইজ্জ্যারটেক মোড় এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে জনৈক মাহিন্দ্রা চালক মোঃ শওকত এর সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ভিকটিম গার্মেন্টসে চাকুরী এবং বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসের জন্য মাহিন্দ্রা চালক মোঃ শওকতের নিকট সহায়তা প্রার্থনা করে। শওকত ভিকটিমকে গার্মেন্টসে চাকুরীর আশ্বাস দিয়ে কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকায় বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য বলে। পরবর্তীতে মাহিন্দ্রা চালক মোঃ শওকত ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে অনুমানিক ১৮০০ ঘটিকায় কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকায় বাসা খোঁজাখুঁজি করছিল। বাসা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে আনুমানিক রাত ২২৩০ ঘটিকায় তারা বিল্লাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থানরত ০৭ জন দুষ্কৃতিকারী মাহিন্দ্রা চালক মোঃ শওকত এবং তার বান্ধবী বিলকিছ আক্তার ও বন্ধু ইমন’কে মারধর করে জোরপূর্বক ভিকটিমকে অটোরিক্সায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় বিলকিছ আক্তার মইজ্জ্যারটেক মোড় এলাকায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে জানায়। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ইং তারিখে রাত আনুমানিক ০০৩০ ঘটিকায় কর্ণফুলী থানাধীন মহিউদ্দিন চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছন থেকে এজাহারনামীয় ০১নং আসামি মোহাম্মদ আকাশ (১৯)’কে গ্রেফতার সহ ভিকটিমকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে। উক্ত গণধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের খালা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৩, তারিখ-১৯ জানুয়ারি ২০২৪ইং, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/২০২০) এর ৭/৯(৩)র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ৩নং পলাতক আসামি মোঃ সোলায়মান চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন শাহ্ আমানত টোল প্লাজা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক গত ০৮ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে আনুমানিক ১৯০০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মোঃ সোলায়মান (২৩), পিতা-মৃত সুলতান মাঝি’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্জারটেক এলাকা হতে আসামি ২। মোঃ রাজু (২৪), পিতা-মোঃ রাজ্জাক এবং বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়ার বাজার এলাকা হতে আসামি ৩। মোঃ নাজমুল প্রকাশ সাকমান (২০), পিতা-মোঃ মামুন, সকলের সাং-শিকলবাহা, থানা-কর্ণফুলী, জেলা-চট্টগ্রাম’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা বর্ণিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি হওয়ার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, তারা মামলা দায়ের এর পর হতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাদেরকে চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: