শেরপুরে শিক্ষার্থী,ছাত্রলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ;আহত অন্তত ৩০ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৪ মোঃ মুরাদ মিয়া।শেরপুরে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সাথে ত্রিমুখী ধাওয়া পাল্টা দাওয়া ও সংঘর্ষ হয় ৷১৭ জুলাই বুধবার দুপুর ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের নিউমার্কেট মোড় , থানা মোড় ও চক বাজারে এই সংঘর্ষ ঘটে ৷উক্ত সংঘর্ষে পুলিশ , সাংবাদিক কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয় ৷ তাদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য, দৈনিক গণমুক্তির জেলা প্রতিনিধি জাহিদ হাসান খোকন, ছাত্রলীগের কয়েকজন সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুজন, জান্নাতুল মিম, রিয়া , তালহাজ্ব ও শরীফসহ বেশ কয়েকজন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী ৷জানা যায় , কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা বেলা ৩ ঘটিকার সময় শেরপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থান করেন ৷ সেখান থেকে শেরপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রদক্ষিণের সময় ছাত্রলীগের বাধার সম্মুখীন হয় ৷ পরে কোটা বিরোধীরা শহরের থানা মোড় এবং ছাত্রলীগরা নিউমার্কেট ও পুলিশ সদস্যরা তাদের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করেন ৷এ সময় আকষ্মিক ছাত্রলীগ ও কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় ৷এ সময় ইট পাটকেল নিক্ষেপকালে এক সাংবাদিক , কয়েকজন পুলিশসহ দুই গ্রুপের মধ্যে অন্তত ৩০ জন আহত হয় ৷ এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হলে শহরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় ৷ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছুড়ে ৷ এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণ পর আবার থানা মোড়ে অবস্থান করে সেখানে ডিভি পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা ৷ফের পরিবেশ শান্ত করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ৷ এতে দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হয় ৷ এভাবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় দুই গ্রুপের মধ্যেই সংঘর্ষ চলে ৷ সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি শান্ত হলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে শহর জুড়ে ৷ এ বিষয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম জানান ,বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে৷ আক্রমণকারীদের হামলায় আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা খুবই গুরুতর ৷ এ ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে ৷ SHARES সারা বাংলা বিষয়: