চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিআরটিএ কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় চৌডালার ইসরাফিল দালালের দৌরাত্ম্য বেড়েছে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে এসে অভিনব জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য লিখিত, মাঠ ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও লাইসেন্স না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।অনুসন্ধানে জানা যায়, চৌডালা বিরপাড়া গ্রামের ইসরাফিল নামে এক দালাল বেশ কিছু গ্রাহকের কাছ থেকে চুক্তিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার কথা বলে ৭-১৩ হাজার টাকা করে নিয়েছে।

এসব গ্রাহককে বিআরটিএতে লিখিত, মাঠ পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা না দিয়েই সরাসরি ফিঙ্গার প্রিন্ট দিলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়। এতে করে দালালের ফাঁদে পা দেয় গ্রাহকরা।সূত্র জানায়, বিআরটিএ ও এর আশপাশের এলাকায় প্রশাসনের কোনো অভিযান না থাকায় দালালদের দৌরাত্ম্য অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে বিআরটিএ-র পার্শ্ববর্তী মার্কেট ও হোটেলগুলোতে সকাল ৮টার পর থেকেই দালালদের উৎপাত শুরু হয়। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দালালদের সখ্য আছে এমন প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নেওয়া হয়।

জানা যায়, চৌডালার ইসরাফিল নানান বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে গ্রাহকদের সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে বর্তমানে ইসরাফিল নিখোঁজ। তার মতো আরও অনেক দালালের পাল্লায় পড়ে অনেকের টাকা খোয়া যাচ্ছে। এই দালালচক্র এতটাই দক্ষ যে, হুবহু বিআরটিএ-র কাগজপত্র, সিল ও স্বাক্ষর জাল করে গ্রাহকদের দিয়ে দিচ্ছে। ফলে গ্রাহকদের বোঝার উপায় নেই যে, এটা সঠিক না ভুয়া। গ্রাহকরা যখন বিআরটিএতে যাচ্ছে তখনই কম্পিউটারে গ্রাহক সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ততক্ষণে অবশ্য দালালচক্র নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে।