শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর ও তার কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রেজাউল হাওলাদার ও তার লোকজন এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ওই যুবদল নেতার নড়িয়া উপজেলার চাকধ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, নড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর, উপজেলা যুবদলের সদস্য সোহাগ মাঝি, ঘড়িসার ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি আক্কাস বেপারী, বিল্লাল খান ও মিজানুর রহমান জাহিদ।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান সাগরের ,সাথে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রেজাউল হাওলাদারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের।কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি কর্নেল এস. এম ফয়সালের আগমন উপলক্ষে ২০ টি মোটরসাইকেলে নেতা কর্মীদের নিয়ে নড়িয়া যাচ্ছিলেন মতিউর রহমান।এসময় তারা চাকধ এলাকায় আসলে গতিরোধ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রেজাউল হাওলাদার, রনি মাঝিসহ বেশ কয়েকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।নড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর বলেন, আমি ২০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সভাপতি কর্নেল এস. এম ফয়সালের আগমন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে যাচ্ছিলাম।চাকধ এলাকায় রেজাউল হাওলাদার ও রনি মাঝিসহ বিএনপির কিছু সুবিধাবাদী লোক আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা আমার ছেলের পা ভেঙে ফেলেছে, আমার নেতাকর্মীদের আহত করেছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রেজাউল হাওলাদার। তিনি বলেন, আমি ব্যাপারে জানিনা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।