শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে কর্মকর্তার অপসারণ দাবি

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪

রাকিব হোসাইন।শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে আইসিভিজিডি, বেতনের টাকা কর্তন, মাতৃত্বকালীন ভাতায় ঘুষ লেনদেনের অভিযোগসহ গভীর রাতে নারী শিক্ষিকাদের মোবাইলে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি করেছে ভূক্তভোগীরা।রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে মানববন্ধন করে এ দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও জেন্ডার প্রোমোটারগণ।

মানববন্ধনে ভূক্তভোগীরা বলেন, যোগদানের পর থেকে আফজাল হোসেন কিশোর কিশোরী ক্লাবের শিক্ষার্থীদের ঠিকমত নাস্তার টাকা না দেন না। তিনি গর্ববতী মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা পেতে হাজার টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।এছাড়াও আইসিভিজিডির ১৬৯০ জন থেকে ১৬০০ টাকা করে কেটে রেখে ২৮ লাখ টাকার দুর্নীতি, শিক্ষকদের ঠিকমত বেতন না দেওয়া, গভীর রাতে নারী শিক্ষককে ফোন করে কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত আফজাল হোসেন।এতে কিশোর কিশোরী ক্লাবসহ উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবাভোগীরা।

আফজাল হোসেনকে দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীন কর্মকর্তা উল্লেখ্য করে তার অপসারণ দাবি করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জেন্ডার প্রোমোটারগণ।মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের শিক্ষক রাবেয়া লিমা বলেন, আফজাল হোসেন কোথাও শূন্য পদ থাকলে তার পছন্দের মানুষকে কিংবা টাকার বিনিময়ে সেই স্থানে নিয়োগ দেয়। কিন্তু কোনো নিয়োগ পরীক্ষা হয়না। তিনি নারী শিক্ষকদের রাতের বেলায় অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন। অফিসে যখন কেউ না থাকেন, তখন তিনি নারী শিক্ষকদের অফিসে যেতে বলেন।

গোসাইরহাটে এমন দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীন কর্মকর্তা চাই না। আমরা তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ দাবি করছি। জেন্ডার প্রমোটার তানজিলা আফরিস বলেন, আফজাল হোসেন বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ২৮ লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়েছেন।এছাড়াও স্বজন প্রীতি দেখিয়ে তার অফিসের এক কর্মচারীর তিনজন স্বজনকে তিনি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

তিনি আমাদের প্রকল্পের শিক্ষকদের ঠিকমতো বেতন দেন না।এছাড়াও তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নাস্তা বাবদ যে টাকা ধরা হয়েছে তার থেকে কেটে রাখেন। আমরা এ বিষয়ে ওনাকে কিছু বলতে গেলেই বাজে আচরণ করেন। আমরা ওনার অপসারণ চাই।শরীয়তপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাফিয়া ইকবাল বলেন, আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ফাইলটি আমি অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। অধিদপ্তর যে সিদ্ধান্ত নিবেন, তা বাস্তবায়ন করা হবে!