জনপ্রিয়তা ও রাজপথের এক্টিভিটি ই শত্রুতার কারন বারবার হামলা ও প্রতিহিংসার স্বীকার ছাত্রদল নেতা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪

মামুন রাফী।বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত যে কোন পোগ্রামে যার থাকে সর্বোচ্চ সরব উপস্তিতি, হরতাল-অবরোধ ও বিক্ষোভের মত রাজপথের পোগ্রামগুলো তে ও সিনিয়রদের মন কেড়েছেন তিনি। আওয়ামী শাসনামলে স্বীকার হয়েছেন একাধিক হামলার। রয়েছে ডজেন খানেক রাজনৈতিক মামলা। কারাবরণ করেছেন ১০-১২ বারের মত। বলছিলাম সদ্য সাবেক নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও নোয়াখালী শহর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল এর কথা। নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা উজ্জ্বল। ছোটকাল থেকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস এবং ভালোবাসা। বুঝ হওয়ার পর থেকে তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

নোয়াখালী শহরের দক্ষিনাঞ্চল ঘুরে দেখা গেলো তৃনমুল থেকে সকল পর্যায়ের জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দের সাথে তার সুসম্পর্ক। সবাই এক নামেই তাকে চিনে। সাম্প্রতিক হওয়া বন্যাতে ও তিনি ছিলেন মানুষের মাঝে। দিয়েছেন ত্রাণসামগ্রী। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির ও তার ত্রানকার্যক্রমে উপিস্তিত ছিলেন। দলের দুঃসময়ে সোনাপুর কেন্দ্রীক হরতাল অবরোধে তিনি ছিলেন এক পায়ে দাড়া।

আওয়ামী হামলায় মৃত্যু পথযাত্রী হয়েছিলেন একাধিকবার। সর্বোপরী রাজনৈতিক এক্টিভিটি ও এলাকার জনপ্রিয়তা ই বারবার তাকে হামলার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২০,৯,২০২৪ বিকেল ৫ ঘটিকার সময় তিনি তার বাড়ির সামনে বিসিক এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে চা খাচ্ছিলেন। তার সাথে তৃণমূলের ব্যাপক এই জনসমর্থণ কে মেনে নিতে না পেরে প্রতিহিংসার আগুনে তার উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে। কুপিয়ে জখম করা হয় উজ্জল সহ তার সাথে থাকা আরো ৮-১০ জন কে। তাদের প্রত্যেক কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ৪১ টি সেলায় করা হয় আহত হওয়া রুবেল কে। সে ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সদস্য। খোজ নিয়ে জানা যায় ন্যাক্কারজনক এই হামলার ইন্ডাইরেক্টলি নোয়াখালী শহর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাজিবের যোগসাজশ রয়েছে। যদিও সজিব বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে।

এই বিষয়ে হামলায় আহত নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন “কিছুদিন আগে শহর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সজিবের নেতৃত্বে আমার রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য আমার অচেনা একটা ছেলে কে তারা মেরে আমার বিরুদ্ধে একটা ভিডিও সাজায়। অথচ সে ছেলে আমাকে চিনেও না আমিও তাকে চিনিনা। পরবর্তী তে আমি তাকে জিগ্যেস করলে সে কান্নাজড়িত কন্ঠে তার থেকে জোরপূর্বকভাবে ভিডিও টি ধারন করার বিষয় টা জানান। উক্ত ভিডিওটা আমি দলীয় হাইকমান্ড কে পাঠিয়েছি। যার সত্যতা আপনারা যাচায় করতে পারেন। তাছাড়া সরাসরি যারা আমাদের উপর হামলা করেছে তারা সবাই সজিবের সাথে রাজনীতি করে। এছাড়া ও শহর ছাত্রদলের কমিটি তে আমি তার সাথে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম। আমি এই হামলার বিচার চাই। তৃণমূলের একজন নির্যাতিত কর্মী হিসেবে, দলের দুঃসময়ে নিজের জীবন বাজি রেখে দলের জন্য কাজ করেছি।

২৮ শে অক্টোবর ঢাকাতে এবং পরবর্তী তে আমার নিজ এলাকায় আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে ও ছিলাম। এখনো যদি আমরা হামলার স্বীকার হতে হয় তবে বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। আমি এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলা বিএনপি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল কে অবহিত করেছি। আহত পরবর্তী চিকিৎসা ও সবধরনের সহযোগিতা করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও আমাদের শ্রদ্ধেয় সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহজাহান ভাই এর প্রতি। উনাকে বিষয় টি সম্পুর্নভাবে অবহিত করেছি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কিরন জানান বিষয় টি জেনেছি এবং উজ্জ্বল সহ আহত সবাই কে আমি দেখতে গিয়েছি। বিষয় টি আসলে দুঃখজনক। উজ্জ্বল থেকে বিস্তারিত সব শুনেছি। ওরা পরিপূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর বিষয় টা নিয়ে আমরা বসব এবং সমাধান ও হবে আশা করছি।