নওগাঁর মান্দায় বালু মহালে হামলা ও ভাঙচুর, দুই জন আহত থানায় লিখিত অভিযোগ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২৪

সাইফুল ইসলাম।নওগাঁয় চাঁদার টাকা না পেয়ে বালু মহালে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ইজারাদার রহমত আলী মোল্লা। হামলায় ভেকু মেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেন ও বালু পয়েন্টের ম্যানেজার মামুনুর রশিদ আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর উজান অংশের পার-কালিকাপুর এলাকায়।

এ ঘটনায় ইজারাদার রহমত আলী মোল্লা বাদী হয়ে মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কছির চৌধুরীর ছেলে শহিদুল চৌধুরী, কাঞ্চন গ্রামের মৃত অবের আলীর ছেলে সামছুল ইসলাম, সূর্য নারায়নপুর গ্রামের মৃত খুদুর ছেলে ফিরোজ হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ মহল্লার মৃত আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের ছেলে রহমত আলী মোল্লা বালু মহলের ইজারাদার। তিনি মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর উজান অংশ বালু মহাল ইজারা নিয়ে সরকারী নিয়ম মেনে পরিকল্পিতভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছিলেন।

ঘটনার দিন গত সোমবার বেলা সকাল সারে ১১টারদিকে উক্ত আসামীরা পার-কালিকাপুর বালুর পয়েন্টে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে ৪টি পয়েন্টে বালু উত্তোলন করতে দিবে না বলে তারা বাঁশের লাঠি, হাসুয়া, লোহার রড, হাতুড়ি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে হামলা চালায়। এ সময় উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কছির চৌধুরীর ছেলে শহিদুল চৌধুরীর আদেশে তার সহযোগীরা ৪টি ড্রেজার পাইপ, ১টি ভেকুমেশিন ও ১টি ড্রাম ট্রাক ভাংচুর করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

হামলা ও ভাংচুরের সময় ভেকুমেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেন এবং বালু পয়েন্টের ম্যানেজার মামুনুর রশিদ বাধা দিলে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় হামলাকারীরা ভেকু মেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেনের কাছে থাকা একটি ১৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে এবং তার কাছে থাকা নগদ ১৬ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশী সৈকত, আব্দুল মতিন, নাজমুল হকসহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকী দেয়।এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর জানান, বালু মহালে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে এটা শুনেছি। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।