ধামইরহাটে নতুন ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণে নবান্ন পালন দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২৪ ছাইদুল ইসলাম ।। ধামইরহাট প্রতিনিধি( নওগাঁ) নওগাঁ জেলার একিবারে উত্তরের জনপদ ধামইরহাটে পালিত হচ্ছে নবান্ন উৎসব।১৮ নভেম্বর( সোমবার) ধামইরহাটে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে নবান্নের এক ব্যতিক্রম উৎসব। নবান্ন উৎসব বাঙালি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে মিশে আছে। নতুন ধান উঠলেই ধান উৎপাদনের অন্যতম জেলা নওগাঁর বিভিন্ন অঞ্চলে উৎসবমুখরভাবে উদযাপন হয় এই নবান্ন উৎসব। আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত হয় এই নবান্ন উৎসব। প্রতি বৎসর সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর পরই শীতর ইমেজ নিয়ে এই নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এবং সে উপলক্ষে বিভিন্ন অঞ্চলে বসে গ্রামীণ মেলা।গ্রামে গ্রামে ভাগাভাগি করে গরু, মহিষ জবাই করা হয় দায়ত করা হয় আত্মীয়-স্বজনদের। নবান্নের এই মেলাকে ঘিরে গ্রামীণ মানুষের মধ্যে এক অন্য রকম উৎসবের আমেজে মুখর হয়ে ওঠে নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রাম,পালাক্রমে অনুষ্ঠিত হয় নবান্নের এই উৎসবআশেপাশের বাড়িতে বাড়িতে শীতের পিঠা পুলি, নতুন ধান থেকে পাওয়া চালের পায়েস, ক্ষীর, ক্ষীরসা রান্না করা হয়। এদিকে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই জামাই মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন আসে, চলে খাওয়াদাওয়ার ধুম।এই নবান্ন কে ঘিরে পাড়ায় পাড়ায় চলে ছোট ছোট মেলা, এ মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে দোকানিরা আগের দিন এসে দোকানে মিষ্টি মিঠাই, বাঁশ, বেত, মাটির তৈরি নকশি পাতিল, মাটির ব্যাংক, পুতুল, কাঠের তৈরি ফার্নিচার, কসমেটিক, খেলনা, বাঁশি, বেলুন, ঘূর্ণি, লোহার তৈরি হাসুয়া, বটি, চাকু, কাগজের ফুল নানান রকম মুখরোচক খাবারেরর দোকান দিয়ে নানা জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসেন।নতুন স্বাধীনতার নতুন ধানের এই নবান্ন উৎসব নিয়ে কথা হয় জগদল আদিবাসী গ্রামের হবিবর জানান যে নবান্ন হছে আমাদের আদিকালের আত্মীয়তা সংস্করণ ও আমাদের সংস্কৃতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং আমাদের সংস্কৃতিকে নতুনদের কাছে পরিচিত করে দেওয়া, তারা যেন কোনভাবেই আমাদের সংস্কৃতি ভুলে না যায়। SHARES সারা বাংলা বিষয়: