১০ টাকার ইফতার, প্রশংসায় ভাসছেন শিহ্মথীরা। দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৫ সৌভিক পোদ্দার।। সত্যিই এমন উদ্যোগ ব্যতিক্রমী। রমজানে ঝিনাইদহে মিলছে মাত্র ১০ টাকায় ইফতারি। এক প্যাকেট ইফতারিতে আছে ছোলা, মুড়ির, চপ, বেগুনি এবং খেজুর। এমন ইফতারের আয়োজন করেছে ঝিনাইদহ রাইজিং ইয়ুথ সোসাইটি। রমজানের প্রথম দিন থেকে এমন ইফতারি সংগ্রহ করতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ঝিনাইদহ শহরের প্রাণকেন্দ্রপাড়া দপ্তরে ইফতারের বিকৃত ব্যস্ত ঝিনাইদহ রাইজিং ইয়ুথ সোসাইটি সদস্যরা। মূলত ইফতারের সময় যাদের বাইরে থাকতে হয় যেমন ভ্যানচালক রিক্সাচালক অসহায় দুস্থ ও গরিব মানুষ। তাদের জন্য এই আয়োজন। ইফতারি কিনতে আসার রিকশাওয়ালা ঈমান আলী জানান, এই উদ্যোগকে সাধুবাদ না জানিয়ে উপায় নেই। আমাদের মতন মানুষদের নিয়ে যারা ভাবে তাদেরকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাধারণ এক ক্রেতা জহিরুল ইসলাম জানান, সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ওরা এগিয়ে যাক এই দোয়া করি। ঝিনাইদা হয়ে রাইজিং ইয়ুথ সোসা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা মোহিত জোয়ারদার জানান, অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টায় মূলত আমাদের এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মূল লক্ষ্য। তিনিসহ কমপক্ষে আরো ২০ জন সদস্য নিয়ে ২০২০ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর সংগঠনটি সৃষ্টি হয়। আমরা শুধু রমজানের সময় ইফতারে ব্যস্ত তাই করি তা নয়। প্রচন্ড গরমে সাধারণ মানুষের জন্য ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করা। শহরকে বিশেষ সময় পরিষ্কার রাগ করা ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৬ই ডিসেম্বর, ২৬ শে মার্চ সহ জাতীয় দিবসে আলপনা আকাহয় স্থানীয় প্রশাসন যখন যেভাবে বলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই ছাত্র। সমাজের বিত্তবানদের সহায়তায় আমরা এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকি। পরপর তিন বছর আমরা দশ টাকার ইফতারী দিয়ে আসছি। খুব সাড়া থাকে। সব ধরনের মানুষ আমাদের থেকে ইফতারি কেনে। এমন স্বল্পমূলের ইফতারের ঝিনাইদহ আর কোথাও পাওয়া যায় না। পুরো মাসে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি প্যাকেট ইফতারি আমাদের এখান থেকে মানুষ সংগ্রহ করে বলে আশা করি। তিনি বলেন, মানুষ যখন কোন কিছু টাকা দিয়ে কেনে তখন তার সম্মান রক্ষা পাই। এখানে লজ্জার কিছু নেই। আত্মসম্মানের সঙ্গে তারা তাদের ইফতারি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনন্দে কিনে নিয়ে যায়। ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জোয়ান ড্রিমলি স্বত্বাধিকারী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আমরা সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ যারা ইফতারের সময় বাধ্যতামূলক রাস্তা কর্ম ব্যস্ত থাকে। তাদের জন্য সামান্য ব্যবস্থা। SHARES সারা বাংলা বিষয়: