প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৫ মোঃ শাহজালাল।। বরগুনা সদর উপজেলার কদমতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ রোজীনা আকতারের বিরুদ্ধে স্লিপ, রুম সজ্জিতকরন, প্রাক-প্রাথমিকের মালামাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা ও ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মোসাঃ রোজীনা আকাতার বিগত ১৫ বছরের আওয়ামী লিগের প্রভাব দেখিয়েছে এবং তার স্বামী ১০নং নলটোনা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। স্কুলে বরাদ্দের প্রায় বিশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে এটিও শুব্রতোকে নিয়ে। এটিও শুব্রত ছিল আওয়ামীলীগের দালাল তাকে নিয়ে ভাগাভাগি করেন আত্মাসাৎকৃত টাকা। ২০২৪ইং সালে র্যামেল এর এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা প্রাকের পনের হাজার, স্লিপের পঞ্চান্ন হাজার টাকা থেকে সর্বমোট দশ হাজার টাকাও খরচ করেনি। প্রতিদিন স্কুলে সকাল ১১টা বাজে আসে এবং দুপুর ২ টায় চলে যায়। স্কুলের পিওন রেজাউলের বাইক আছে তার বাইকে প্রতিদিন সকালে আনতে হয় এবং বাসায় পৌছে দিতে হয়। যাতে বিদ্যালয় এবং শিশুদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তিনি যোগদানের সময় প্রায় পাঁচশত ছাত্রছাত্রী অধ্যায়নরত ছিলেন এবং বারো জন শিক্ষক ছিলেন। স্কুলে প্রধান শিক্ষকের অমনোযোগিতার কারনে বর্তমানে এখন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা দেড়শো’তে দাড়িয়েছে এবং দুইজন শিক্ষকের পোষ্ট কেটে নিয়েছে। পাশাপাশি দেড়শো ফিটের ভিতরে ২টা কিন্ডার গার্ডেন স্কুল দাড়িয়েছে। অনেক সময় কিন্ডার গার্ডেন পরিচালকদ্বারা স্কুলের অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। কিন্ডার গার্ডেন এর পরিচালকদের কাছ থেকে উৎকুশ গ্রহন করেন যার কারনে ইউনিয়নের মাদার স্কুলটি ধসে পড়ে যায়। এই স্কুলে প্রধান শিক্ষক যদি থাকেন তাহলে স্কুলটি অচিরেই ধংসের মুখে পড়ে যাবে। তার নামে মাত্র একটি ক্লাস করার কথা থাকলে তিনি কোন ক্লাস নেন না। প্রায়ই সে মুভমেন্ট রেজিষ্টারে লিখে অফিসের কথা বলে বাহিরে গিয়ে গোরাফেরা করে। বরগুনা সরকারী কলেজের প্রিন্সিপালের চেয়েও সে বেশি গোরাফেরা করতে চায়। যেটা সমাজের মানুষের চোখে দৃষ্টিকটু দেখায় এবং শিক্ষা পরিবারের ক্ষতিসাধন হয়। ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের অনেক স্কুলের শিক্ষক তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায়। অন্য শিক্ষকরা বলে সে যদি এভাবে স্কুল ফাকি দেয় তাহলে আমাদের উপরে এতো টর্চার কেনো। তাকে পালিশমেন্ট বদলী না করা হলে কদমতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক ক্ষতি হবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, ক্ষমাতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রধান শিক্ষক মোসাঃ রোজীনা আকতার সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে স্কুল পরিচালনা করেন। স্কুলের উন্নয়নের বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা উন্নয়ন না করে আত্মসাত করেন। এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকার সচেতন মহল বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত করেও কোন প্রতিকার পায়নি। রোজীনা আকতার প্রতিবাদকারীদেরকে বিভিন্ন প্রকার মামলা, হামলার হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখতেন। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এলাকার সচেতন সমাজ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত করেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোসাঃ রোজীনা আকতার অনিয়াম অর্থ অত্বসাতের কথা অস্বীকার করে বলেন, গাজী আব্দুল রশিদ সরকারি বিধি অনুযায়ী বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত করেন। SHARES অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়: