চাটখিলে খালের উপরে অবৈধ ভাবে ব্রীজ নির্মাণের হিড়িক

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৫
মোঃ হানিফ ।।
সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে, কোন রকম অনুমতি ছাড়া নোয়াখালী  চাটখিল উপজেলায় সরকারি খালের উপর অবৈধভাবে ব্রীজ নির্মাণের হিড়িক দেখা  দিয়েছে। বন্যা পরবর্তী খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর থেকে এই ব্রীজ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দিনে রাত্রে ব্রীজ নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার মহেন্দ্র খাল, খেজুরতলা থেকে ধলা পোল হয়ে নোয়াখলা খাল পর্যন্ত ইসলামিয়া বেনু, কুদ্দুস মিয়া, মোহন, হাসেম মিস্ত্রি, চাটখিলের ১১ নাম্বার পোল থেকে হর হইরা গাছতলা পর্যন্ত নোয়াখলা খালে খিদমা হাউজিং, হাজী কেরামত আলী, মাজহারুল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে ব্রীজ নির্মাণ করছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৫০ ফুট প্রশস্থ খালটি দুই পাশে ৩০ থেকে ৩৫ ফুট বালু দিয়ে ভরাট করে ১০ থেকে ১৫ ফুট ব্রীজ নির্মাণ করছে। এতে খালের পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। বিগত বন্যার সময় এ সমস্ত খালে সঠিকভাবে পানি চলাচল করতে না পারায় বন্যা স্থায়ী রূপ নিয়েছে, এ সকল ব্রীজ নির্মাণের ফলে পানি নিষ্কাশন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে।
আগামীতে বন্যা হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, তাই জনস্বার্থে এখনই এ সকল অবৈধ ব্রীজ নির্মাণ কাজ বন্ধ করা জরুরি। চাটখিল উপজেলার অন্যান্য খালের উপরও অনুরূপভাবে ব্রীজ নির্মাণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে ব্রীজ নির্মাণকারী মোহন, মোস্তফা মিয়া, মাজহারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তারা ব্রীজ নির্মাণের জন্য অনুমতির বিষয়ে জানেন না বলে জানান। খালের প্রশস্ত রাস্তার তুলনায় ছোট ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন অর্থ সাশ্রয়ের জন্যই এমনটি করেছেন।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, ব্যক্তি পর্যায়ে ব্রীজ নির্মাণ করতে হলে প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে হয়। প্রশাসন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর মাধ্যমে নিয়ম মেনে ব্রীজের আকার ও প্রকৃতি নির্ধারণ করে দেন। যারা অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে ব্রীজ নির্মাণ করছে ইতোমধ্যে তাদের অধিকাংশ ব্রীজের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে অন্য ব্রীজগুলোর বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে।